সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় প্রতিমাকে পরিপূর্ণ রূপদান, মণ্ডপে ডেকোরেশন, লাইটিং, প্যান্ডেল নির্মাণসহ সংশ্লিষ্ট সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। একই সঙ্গে নিছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। রবিবার সকালে কয়েকটি মণ্ডপ পরিদর্শনে দেখা যায়, ব্যস্ত সময় পার করছে আয়োজক কমিটি। এ সময় প্রতিমা শিল্পী রবিন পাল বলেন, অনেক কষ্টে মা’কে নতুন রূপে সাজাতে সক্ষম হয়েছি।
এবার কলারোয়া উপজেলা ব্যাপী (পৌরসভাধীন ৮টি এবং ১২টি ইউনিয়নে ৩৪টি) মোট ৪২টি মণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে। পৌরসভাধীন ৮টি পূজামণ্ডপ গুলো হলো তুলসীডাঙ্গা ঘোষপাড়া মাতৃপূজা মণ্ডপ, তুলসীডাঙ্গা গোয়ালঘাটা পূজা মণ্ডপ, ঝিকরা হরিতলা পূজা মণ্ডপ, গোপিনাথপুর দক্ষিণপাড়া পূজা মণ্ডপ, গোপিনাথপুর ঘোষপাড়া পূজা মণ্ডপ, মুরারীকাটি উত্তর পালপাড়া পূজা মণ্ডপ, মুরারীকাটি দক্ষিণ পাড়া পূজা মণ্ডপ, মুরারীকাটি দক্ষিণ হরিসভা পূজা মণ্ডপ। এছাড়া উপজেলার ১নং জয়নগর ইউনিয়নে ৬টি পূজা মণ্ডপ, ২নং জালালবাদ ইউনিয়নে ৩টি, ৩নং কয়লা ইউনিয়নে ২টি, ৪নং লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়নে ২টি, ৫নং কেঁড়াগাছি ইউনিয়নে ৩টি, ৬নং সোনাবাড়ীয়া ইউনিয়নে ১টি, ৭নং চন্দনপুর ইউনিয়নে ৩টি, ৮নং কেরালকাতা ইউনিয়নে ২টি, ৯নং হেলাতলা ইউনিয়নে ৩টি, ১০নং কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নে ৩টি, ১১নং দেয়াড়া ইউনিয়নে ৫টি ও ১২নং যুগিখালী ইউনিয়নে ১টি মণ্ডপ দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
কলারোয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সিদ্ধেশ্বর চক্রবর্তী, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ পালসহ নেতৃবৃন্দরা জানান, প্রতিটি মন্দিরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবকরা নিয়োজিত থাকবে। ঝুঁকিপূর্ণ মণ্ডপগুলো সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে। এছাড়া মন্দিরগুলোর সার্বিক তত্ত্বাবধান ও যোগাযোগ রাখতে প্রশাসনের পাশাপাশি হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সন্দীপ রায়ের নেত্বত্বে একটি ভ্রাম্যমাণ দল পর্যবেক্ষণ করবেন বলে তারা জানান।
কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) শেখ মারুফ আহম্মদ জানান, প্রতিটি মণ্ডপে পর্যাপ্ত আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবে। পূজা মণ্ডপে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তাছাড়া পুলিশের মোবাইল টিমও থাকছে। এছাড়াও প্রতিটা মন্দিরে সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যরা থাকবে। তিনি আরো বলেন, প্রতিটি মণ্ডপের স্বেচ্ছাসেবকদের পরিচয় পত্র দিয়েছি।
বিডি-প্রতিদিন/১৪ অক্টোবর, ২০১৮/মাহবুব