নাটোরে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী জামিল হোসেন মিলনকে প্রশাসনের পরিচয়ে সাদা পোশাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। এর প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ ও শহর জুড়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে তার অনুসারী সহস্রাধিক নেতাকর্মি ও এলাকাবাসী।
তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাদা পোষাকে তুলে নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে। জামিল হোসেন নাটোর জেলা যুবলীগের প্রস্তাবিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
নিখোঁজ জামিল হোসেন মিলনের বাবা শহরের তালতলা হাফরাস্তা এলাকার এমদাদুল হক নিয়াজি বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১২টার দিকে মিলনকে মাইক্রোবাস যোগে প্রশাসনের পরিচয়ে তুলে নিয়ে যায় সাদা পোশাকধারীরা। এরপরই তিনি থানা ও র্যাবের অফিসে যোগাযোগ করেও তার ছেলের কোন খোঁজ পাননি। পরে তাকে সাধারণ ডায়েরী করার পরামর্শ দেয়া হলেও তিনি সকালে থানায় গিয়েও জিডি করতে পারেননি।
এদিকে, মিলন নিখোঁজের খবরে বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী সকালে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। পরে তারা সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নাটোর প্রেসক্লাবের সামনে নাটোর-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এসময় শহরের সব অলিগলিও বন্ধ করে দেয় বিক্ষোভকারীরা। পুলিশও এ সময় নিরব দর্শকের ভুমিকা পালন করে।
পরে একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা মিছিল সহকারে শহরের বড় হরিশপুর বাইপাস মোড়ে গিয়ে অবস্থান নেয়। সেখানেও অবস্থান নিলে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক বন্ধ হয়ে দুপাশে দূরপাল্লা ও আন্তজেলার শত শত যাত্রীবাহি বাস ও অন্য পরিবহন আটকা পড়ে। অবরোধ শুরুর প্রায় তিন ঘন্টা পর প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করে মিলন সমর্থকরা।
এ বিষয়ে নাটোর সদর থানার (ওসি) তদন্ত ফরিদুল ইসলাম জানান, মিলনকে কে বা কারা তুলে নিয়ে গেছে তা তারা জানেন না। তবে খবর পাওয়ার পরে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। তবে মিলনের বিরুদ্ধে মাদক ও চাঁদাবাজীসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১৪টি মামলা রয়েছে। এদিকে র্যাবের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে ধরনের কোন অভিযান তারা পরিচালনা করেননি।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর