রাজশাহীর বাঘায় বিষাক্ত অ্যালকোহল পানে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এর সঙ্গে জড়িত থাকা সন্দেহে এক হোমিও চিকিৎসককে আটক করা হয়েছে। আটককৃত চিকিৎসকের হোমিও চিকিৎসা হল উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সেলিম আহম্মেদ ভান্ডারি ও উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের ইলেকট্রিশিয়ান রনি কুমারকে বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মনিগ্রাম বাজারের নিজস্ব নিরাময় হোমিও হলের চিকিৎসক মাসিদুল কারিম কৌশলে ডেকে কোমল পানীয় দ্রব্যের সঙ্গে বিষাক্ত অ্যালকাহল (ইথোনিক্যাল) জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে পান করায়। তারা এ পান করার পর নিজ নিজ বাড়িতে চলে যায়। তারপর থেকে তারা অসুস্থ্য হয়ে পড়ে।
পরিবারের লোকজন তাদের প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসা চলকালীন প্রথমে বৃহস্পতিবার সকালের দিকে রনি কুমারের মৃত্যু হয়। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে সেলিম আহম্মেদ ভান্ডারীর মৃত্যু হয়।
এ ঘটনা জানার পর বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা শুক্রবার সকাল ১০টায় মনিগ্রাম বাজারের গিয়ে চিকিৎসক মাসিদুল কারিমের হোমিও নিরাময় হল সিলগালা করে দিয়েছেন। এ সময় বাঘা থানার পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। সেলিম আহম্মেদ ভান্ডারির স্ত্রী সোনিয়া আক্তার বলেন, ‘মৃত্যুর আগে সে আমাকে সব বলে গেছে। ডাক্তার মাসিদুল কারিম আমার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে বিষাক্ত কিছু খাইয়ে হত্যা করেছে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে। বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা বলেন, হোমিও ডাক্তারের দোকানে অভিযান চালিয়ে দেখা যায়, তার দোকানে রাখা ওষুধের গায়ে প্রস্তুতের তারিখ ও মেয়াদ উর্ত্তীণের তারিখ দেওয়া নেই। ফলে দোকান সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহসীন আলী বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে চিকিৎসক মাসিদুল কারিমকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর
