ফরিদপুরের বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার দু’টি কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারি ও কমিউনিটি হেল্থ কেয়ার প্রভাইডারের বিরুদ্ধে অফিস ফাঁকি ও কর্তব্য অবহেলার অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিনে গিয়ে এসব ক্লিনিক গুলো বন্ধ পাওয়া গেছে।
বোয়ালমারী উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে অবস্থিত হরিহরনগর কমিউনিটি ক্লিনিকটি গতকাল শনিবার বেলা সোয়া ১১টায় তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখা যায়। ক্লিনিকের সামনে দাড়িয়ে থাকা হরিহরনগর গ্রামের রাফেজা বেগম ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে এসেছেন চিকিৎসা সেবা নিতে। কিন্তু ক্লিনিকটি বন্ধ থাকায় চিকিৎসা সেবা না নিয়েই ফিরে যান তিনি। স্থানীয়রা জানান, মাসে দু একদিন ক্লিনিক খোলা থাকে। তাছাড়া মাসের বেশীর ভাগ সময়ই বন্ধ থাকে।
ক্লিনিকে কর্তব্যরত স্বাস্থ্য সহকারি মাসুদার রশিদ মুঠোফোনে বলেন, হেল্থ ইন্সপেক্টার মো. আবু সাঈদের নিকট থেকে এক দিনের ছুটি নিয়েছিলাম। হেল্থ ইন্সপেক্টার মো. আবু সাঈদ বলেন, আমি স্বাস্থ্য সহকারি মাসুদার রশিদকে মোবাইল ফোনে এক দিনের ছুটি দিয়েছি।
বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. তাপস বিশ্বাস বলেন, জরুরী প্রয়োজনে এক দিনের জন্য ছুটি দেয়া যেতে পারে। তবে একই সঙ্গে দুই জনের ছুটিতে যাওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি হেল্থ ইন্সপেক্টারের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলবো।
অপরদিকে, আলফাডাঙ্গা উপজেলার পাচুড়িয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে অবস্থিত যোগীবরাট কমিউনিটি ক্লিনিকটিও তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখা যায়। ক্লিনিকে কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারি মো. জিয়াউর রহমান ও কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রভাইডার রহিমা বেগমকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। আগত রোগীরা ক্লিনিকটি বন্ধ থাকায় চিকিৎসা সেবা না পেয়ে ফিরে যান।
চিকিৎসা সেবা নিতে আসা বাশতলা গ্রামের সুফিয়া বেগম জানান, জ্বর এবং ঠান্ডা নিয়ে ক্লিনিকে এসেছিলাম চিকিৎসা নিতে। কিন্তু ক্লিনিকটি বন্ধ থাকায় চিকিৎসা না নিয়েই ফিরে যেতে হচ্ছে।
যোগীবরাট গ্রামের হবিবর সিকদার বলেন, ক্লিনিকটি সপ্তাহে মাত্র দুই দিন খোলা হয়। বাকি দিনগুলি বন্ধ থাকে। যেদিন খোলা হয় ১১টার দিকে এসে আবার তড়িঘড়ি করে ১টার মধ্যে বন্ধ করে চলে যায়। একই গ্রামের কোবাদ সিকদার বলেন, ক্লিনিকটি অনিয়মিত ভাবে খোলার কারণে সঠিক চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকার জনগণ।
যোগীবরাট কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারি মো. জিয়াউর রহমান বলেন, রির্পোট দেয়ার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়েছিলাম। আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. মো. রিজাউল করিম বলেন, সকাল সাড়ে ৮টা থেকে কমিউনিটি ক্লিনিকের অফিস শুরু হয়। বন্ধ থাকার বিষয়টি আমি চিঠি দিয়ে জানবো ও সর্তক করবো।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর