বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে কাজলা ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দকৃত ১৭০ বস্তা ভিজিডির চাল জব্দ করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে চালগুলো স্থানীয় প্রশাসন আটক করলেও মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো মামলা হয়নি। যার কারণে বিষয়টি নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার কাজলা ইউনিয়নের ৪৪০ জন ভিজিডি কার্ডধারী সুবিধাভোগী রয়েছে। সোমবার সকালে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাশেদ সরকার সুবিধাভোগীদের মাঝে ওই চাল বিতরণের জন্য উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে ৪৪০ বস্তা চাল উত্তোলন করেন। এরপর তিনি সেই চালগুলোর মধ্যে ১৭০ বস্তা চাল স্থানীয় দুইজন চাল ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দেন। বাকিগুলো কম ওজন দিয়ে তালিকাভুক্তদের মাঝে বিতরণ করেন।
এদিকে চাল বিক্রি করার অভিযোগ পেয়ে সোমবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফ আহম্মেদ অভিযান চালান। এ সময় পৌর এলাকার চাল ব্যবসায়ী নজির উদ্দিন ও জয়নাল আবেদীনের গুদাম থেকে ভিজিডির ১৭০ চাল আটক করা হয়। পরে চালগুলো উদ্ধার করে থানায় এনে জব্দ তালিকা করা হয়।
চাল ব্যবসায়ী নজির উদ্দিন বলেন, চালগুলো কাজলা ইউনিয়ন পরিষদের ঠিক আছে। এগুলো বিভিন্ন লোকজন আমার কাছে বিক্রি করছে, আমি কিনেছি।
কাজলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাশেদ সরকার তার বিরুদ্ধে চাল বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার ইউনিয়ন পরিষদ নদী বিধ্বস্ত। সে কারণে ভিজিডির চালগুলো দুটি পয়েন্ট থেকে বিতরণ করা হয়। ৫টি ওয়ার্ডের চাল বিতরণ করা হয় চরে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে। ৪টি ওয়ার্ডের চাল বিতরণ করা হয় উপজেলা সদরের কালিতলা ঘাট থেকে। সুবিধাভোগীরা তাদের চাল ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছে। সেই দোষ আমার ওপর চাপানো হচ্ছে।
সারিয়াকান্দি উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজনীন আকতার বলেন, সরকারি চাল যেই বিক্রি করুক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফ আহম্মেদ বলেন, মামলা দায়ের করার প্রক্রিয়া চলছে। শিগগিরই সেটি রেকর্ড করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার