১২০ দিনের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি নাটোরের বড়াইগ্রাম পৌরসভার ভরতপুর এলাকায় বড়াল নদের ওপরের সেতুর নির্মাণ কাজ। ২০১৫ সালে ৫৮ লাখ টাকায় সেতুটি নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করা হয়। নানা টালবাহানার পর শেষ পর্যন্ত গত বছর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি নির্মাণ কাজ শুরু করলেও আজও অর্ধেক কাজ হয়নি। এছাড়া নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
সেতুর নির্মাণকাজের অনিয়ম তুলে ধরে পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান বলেন, সেতুটি নির্মাণে সীমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতি হচ্ছে। তাই মানসম্মত কাজের দাবিতে এলাকাবাসী কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন।
দায়িত্বরত ঠিকাদার ইউসুফ আলী জানান, বারবার ঠিকাদার বদল হয়ে সর্বশেষ তাকে কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে কাগজে–কলমে কাজটি ঠিকাদার মিজানুর রহমানের নামেই আছে। এত দেরি হওয়ার কারণ নিয়ে তিনি বলেন, নির্মাণাধীন সেতুর জায়গায় আগে একটা ভাঙা সেতু ছিল। সেটি সরিয়ে নতুন সেতুটি করতে হচ্ছে। তাই কাজ শুরু করতে দেরি হয়েছে। এছাড়া বর্ষার কারণেও কাজ এগোয়নি। তিনি জনদুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন, স্থানীয় লোকজনের কষ্টের জন্য আমার খারাপ লাগছে। কিন্তু পানির মধ্যে তো তাড়াহুড়ো করে কাজ করা সম্ভব না। আমি কার্যাদেশ মোতাবেক কাজ করছি। অনিয়ম হলে দায়িত্বরত প্রকৌশলী আমাকে ধরবেন।দায়িত্বরত উপসহকারী প্রকৌশলী ফিরোজ হোসেন বলেন ‘দীর্ঘ বিলম্বের কারণে স্থানীয় লোকজন ক্ষুব্ধ। আমরা এখন চেষ্টা করছি কাজটি দ্রুত শেষ করার। স্থানীয় লোকজনের যেসব অভিযোগ আছে, আমরা তা আনুষ্ঠানিকভাবে শুনব। এ পর্যন্ত সেতুর অর্ধেকের কিছু কম কাজ হয়েছে। নির্মাণকাজে কোনো অনিয়ম হয়নি বলে তিনি দাবি করেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার