বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের পশুর নদীর চরপুটিয়া এলাকার খোন্তা-কোদালিয়া খালে র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে প্রধান রানা ওরফে পান্না বাহিনীর প্রধানসহ ৩ সদস্য নিহত হয়েছে। সোমবার সকাল ৭টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলা এই বন্দুকযুদ্ধে ২ র্যাব সদস্য আহত হন।
বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে বনদস্যুদের ব্যবহৃত একটি নৌকা, ৪টি আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ। নিহত ৩ বনদস্যুরা হলেন, রানা ওরফে পান্না বাহিনীর প্রধান রানা ওরফে পান্না, জুলহাস ও কামরুজ্জামান। এদের বয়স ৩৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। নিহতদের মধ্যে একমাত্র বাহিনীর প্রধান রানা ওরফে পান্নার বাড়ী বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নে। র্যাবের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
র্যাব-৬ এর স্পেশাল কোম্পানী কমান্ডার মেজর মো. শামীম সরকার জানান, বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের পশুর নদীর চরপুটিয়া এলাকার খুন্তা-কোদালিয়া খালে বনদস্যুরা অবস্থান নিয়েছে এমন গোপন খবর পেয়ে সকাল ৭টায় ওই এলাকায় র্যাব অভিযান শুরু করে। এ সময়ে সুন্দরবনের ভিতরে লুকিয়ে থাকা বনদস্যুরা র্যাবের উপর গুলি বর্ষণ করে। এক পর্যায়ে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। বন্দুকযুদ্ধের সময়ে ২ র্যাব সদস্যও আহত হন।
বন্দুকযুদ্ধ প্রায় এক ঘণ্টা পর শেষ হলে র্যাব সদস্যরা ওই এলাকায় তাল্লাশি করে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ৩ বনদস্যু, ৪টি আগ্নেয়াস্ত্র, একটি নৌকা ও বিপুল সংখ্যাক গোলাবারুদ উদ্ধার করে। এ সময়ে সুন্দরবনের জেলে, মৌয়ালসহ বনজীবীরা আহত ৩ জনের মধ্যে বনদস্যু রানা ওরফে পান্না বাহিনীর প্রধান রানা ওরফে পান্না, জুলহাস ও কামরুজ্জামান বলে শনাক্ত করে। দ্রুত আহত দুই র্যাবসহ গুলিবিদ্ধ ৩ বনদস্যু সদস্যদের মোংলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালে নিয়ে আসার পর গুলিবিদ্ধ ৩ বনদস্যুকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। নিহত ৩ বনদস্যু লাশসহ উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্র-গোলাবারুদ ও বনদস্যুদের ব্যবহৃত নৌকাটি মোংলা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে র্যাব।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ