সাতক্ষীরায় মনিরা সুলতানা ( ২৪) নামে এক সন্তানের জননীকে এসিড মেরে ঝলসে দেওয়া হয়েছে। গতকাল রবিবার রাত নয়টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগরদাঁড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মনিরাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এসিডদগ্ধ মনিরা সুলতানা সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগরদাঁড়ি গ্রামের নূর মোহাম্মদের স্ত্রী।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মনিরা সুলতানা জানান, কালেরডাঙি গ্রাম থেকে ছয় বছর আগে তারা স্বপরিবারে আগরদাঁড়ি পূর্বপাাড়ায় জমি কিনে বাড়ি তৈরি করে বসবাস শুরু করেন। তারা বসবাসের পর থেকে প্রতিবেশি আব্দুল মজিদের স্ত্রী শাহানারা ও তাদের ছেলে নির্মাণ শ্রমিক মাসুদ তাদেরকে উচ্ছেদ করার চেষ্টা করে কয়েকবার।
মনিরা আরও জানান, রবিবার সন্ধ্যায় স্বামী নুরমোহাম্মদ সৌদি আরব থেকে বাড়ি ফিরে আসেন। রাতের খাওয়া শেষে তিনি ছাদের উপর ঘুমাচ্ছিলেন। রাত ৯টার দিকে তিনি (মনিরা) বাথরুমে গোসল করছিলেন। এ সময় পিছন দিক থেকে তার শরীরে এসিড ছুঁড়ে মেরে পালিয়ে যেতে দেখেন মাসুমকে। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের সার্জারী কনসালট্যাণ্ট ডাঃ শরিফুল ইসলাম জানান, মনিরার শরীরের পিঠে এসিড জাতীয় দাহ্য পদার্থ দিয়ে ঝলসে দেওয়া হয়েছে। তবে ১০ শতাংশ পুড়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফরহেনসিক পরীক্ষা ছাড়া কি ধরণের দাহ্য পদার্থ তা বলা যাবে না। তাকে ঢাকা এসিড সারভাইভাস ফাউন্টেশনে ভর্তির জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নির্মাণ শ্রমিক মাসুদের মা শাহানারা খাতুন জানান, তার ছেলেকে অহেতুক ফাঁসানো হচ্ছে। তারা এ ধরণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সোমবার সকাল ১১টা পর্যন্ত এ নিয়ে কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/তাফসীর