কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কামাল্লা ডি আরএস উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রীকে (১৫) ধর্ষণের ঘটনায় ওই স্কুলের শিক্ষক আবু হানিফকে গ্রেফতার করে কুমিল্লা আদালতে প্রেরণ করে মুরাদনগর থানা পুলিশ। এদিকে ধর্ষিতার পরিবারকে ধর্ষকের লোকজন মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে। মামলা তুলে না নিলে জানে মেরে ফেলার কথাও বলছে।
মেয়ের বাবা জানান, কামাল্লা বাজারের কবির আহম্মদের বিল্ডিং এর দ্বিতীয় তলায় প্রাইভেট পড়ানোর কক্ষে ৭ মাস পূর্বে জেএসসি পরীক্ষার সাজেশন দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে শিক্ষক আবু হানিফ তার মেয়েকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর বিষয়টি প্রধান শিক্ষকের কাছে নিয়ে গেলে তিনি বিচার করে দিবেন বলে আশ্বাস দিয়ে ৭ মাস পার করে দেন। সর্বশেষ গত ৬ মে সংবাদিকদের ধর্ষণের বিষয়টি অবহিত করার কারণে ধর্ষিতার পিতা আবুল হাশেমকে স্কুলের প্রধান র্শিক্ষক আবুল বাশার প্রকাশ্যে বাজারে মধ্যে মারধর করেন। তখন ধর্ষিতার পিতা মুরাদনগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এছাড়া প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে জিডি করেন। এদিকে ধর্ষকের লোকজন মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে।
এবিষয়ে মুরাদনগর থানার ওসি মঞ্জুর আলম বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে শিক্ষক আবু হানিফকে ৫ মে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে জিডির বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার