বরিশালে বিয়ের প্রভোলন দেখিয়ে এক তরুণী ধর্ষণের দায়ে সামসুল আলম (৩২) নামে একজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এসময় আদালত ১ লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো এক বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
সোমবার বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শামীম আহম্মেদ আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিত সামসুল আলম মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার খন্তাখালী গ্রামের বাসিন্দা। ধর্ষিতা তরুণী বিলকিস বেগম একই উপজেলার রাজাপুর গ্রামের অশোক আলী রাড়ির মেয়ে।
২০১০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর তিনি ধর্ষণের শিকার হন। বিলসিক বেগম নিজেই বাদী হয়ে সামসুল আলমের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।
সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী আজিবর রহমান জানান, আসামি সামসুল আলমের সাথে একই উপজেলার রাজপুর গ্রামের ওই তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২০১০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ওই তরুণীকে ফোন করে বাড়ির পার্শ্ববর্তী বাগানে ডেকে নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে সামসুল। সেই থেকে পরবর্তীতে তাদের মধ্যে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়। সবশেষ একই বছরের ১৮ নভেম্বর তরুণীর বাড়িতেই শারীরিক সম্পর্কের সময় প্রতিবেশী আতিক দেওয়ান নামে এক ব্যক্তি তাদের আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ফেলেন। তখন সামসুল আলম ওই তরুণীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ২৩ নভেম্বর ধর্ষিতা বাদী হয়ে ধর্ষণের অভিযোগে সামসুলকে একমাত্র আসামি করে বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে ঘটনার এক মাসের মাথায় মেহেন্দিগঞ্জ থানার ওসি প্রতিবেদন দাখিল করেন। ট্রাইব্যুনালে ৯ জনের মধ্যে ৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক সামসুল আলমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন।
রায় ঘোষণার সময় অভিযুক্ত সামসুল অনুপস্থিত থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন