১৫ জুন, ২০১৯ ২০:৫৮

বিরলে যুবককে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় থানায় অভিযোগ

দিনাজপুর প্রতিনিধি:

বিরলে যুবককে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় থানায় অভিযোগ

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিনাজপুরের বিরলে এক যুবককে গাছের সাথে বেঁধে সারাদিন ধরে নির্যাতন করার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। 

শনিবার দুপুরে ভুক্তভোগী নির্যাতনের শিকার যুবক দিলীপ চন্দ্র রায়ের মা কল্পনা রাণী বিরল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। 
নির্যাতনকারীদের অব্যাহত হুমকিতে চরম নিরাপত্তাহীনতাবোধ করছে পরিবারটি। 

নির্যাতিত যুবক বিরল উপজেলার শহরগ্রাম ইউপি’র চাপাই নওদাপাড়া গ্রামের মৃত কান্দুড়া চন্দ্র রায়ের পুত্র দিলীপ চন্দ্র রায়কে (৩০) পূর্বের একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১৪ জুন গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন করা হয় বলে স্থানীয়রা জানায়।

বিরল থানার ওসি এটিএম গোলাম রসূল ভুক্তভোগীর পক্ষে অভিযোগ দায়েরের কথা স্বীকার করে জানান, বিষয়টি প্রথমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকের মাধ্যমে অবগত হয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ অফিসার প্রেরণ করি। নির্যাতিত যুবকের মা কল্পনা রাণী শনিবার একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার বিকালেই আমি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাই। তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, স্থানীয় রাণী, মণি বালাসহ অনেকে জানায়, গত ৬ মাস আগে নির্যাতিত যুবক দিলীপের সাথে পার্শ্ববর্তী বাড়ির নিতাই চন্দ্র রায়ের কন্যা টেপেরী রাণী (১৩) এর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে উঠার অভিযোগে উভয় পরিবারের সাথে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয় এবং ওই ঘটনায় দিলীপ ভয়ে গত ৬ মাস ধরে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র পলাতক ছিল। গত ১ মাস পূর্বে দিলীপ বাড়িতে এসে স্ত্রী-সন্তানদের সাথে নিয়ে সংসার করছিল। গতকাল শুক্রবার সকালে দিলীপ বাড়ি থেকে বের হয়ে এলে পাশের বাড়ির নিতাই চন্দ্র রায়ের পুত্র শমেষ চন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে তার ভাই বাবলু চন্দ্র রায়, নির্মল চন্দ্র রায় ও তার মামা দারইল গ্রামের মন্টু চন্দ্র রায় মিলে দিলীপকে তুলে বাড়িতে নিয়ে যায় এবং দিলীপকে বাড়ির ভিতরে কাঁঠাল গাছের সাথে বেঁধে রেখে নির্যাতন করে।

খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য রঞ্জন চন্দ্র রায় ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা অরুণসহ এলাকার বেশকিছু লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মম নির্যাতনের প্রতিবাদ জানালে মেয়ের ভাই শমেষ চন্দ্র রায় ও তার লোকজন তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। বিকালে খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান (মুরাদ) ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি ওই যুবককে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করে তাঁর কাছে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে ছেড়ে দেয়। 

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মুরাদ জানায়, দিলীপ তাঁর দোষ স্বীকার করেছে বলে তাঁকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ঐ টাকা স্থানীয় মন্দিরে দেয়া হবে। এ ছাড়া আর কোন কিছু মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর