কক্সবাজারে বৈরী আবহাওয়ায় ডুবে যাওয়া মাছ ধরা ট্রলারের আরও ৫ জেলের লাশ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের হিমছড়ি, মহেশখালী, সমতিপাড়া পয়েন্ট থেকে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়। তবে লাশ বিকৃত হয়ে যাওয়ার তাদের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। মৃতদেহ কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
এর আগে ৬ জনের লাশ পাওয়া যায়। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১১তে।
সাগরে টানা ৬৫ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকলেও গত ৪ জুলাই চরফ্যাশনের ১৭ জেলে ট্রলার নিয়ে মাছ ধরতে যায়। ঝড়ের কবলে পড়ে দু'দিন পরই ৬ জুলাই ট্রলারটি সাগরে ডুবে যায়।
গত বুধবার কক্সবাজার শহরের সমুদ্রসৈকতের সি-গাল পয়েন্টে ছয় জেলের লাশ ভেসে আসে। এ সময় দুজনকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারা হলেন মনির মাঝি (রাসেল-৩০) ও মোহাম্মদ জুয়েল (৩০)। তাদের সবার বাড়ি ভোলার চরফ্যাশনে।
২৯ জেলে নিয়ে মাছ ধরার দুটি ট্রলার ডুবে যাওয়ার পর থেকেই তারা সবাই নিখোঁজ ছিলেন। বেশ কয়েকজন জেলে এখনও নিখোঁজ।
মনির মাঝি ও মোহাম্মদ জুয়েল জানান, সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে তাদের ট্রলার বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে। পরে সেটি ভাঙাচোরা অবস্থায় জোয়ারের ধাক্কায় ভেসে কক্সবাজার উপকূলে চলে আসে। মনির মাঝির নেতৃত্বে মাছ শিকারে যাওয়া ১৫ জেলের মধ্যে ১২ জনের নাম জানা গেছে।
তারা হলেন মো. মনির মাঝি (৩০), মো জুয়েল (৩০), জিহাদ হোসেন (২৫), মাকসুদ (২৮), সেলিম (৩২), বাবুল (৩৫), অলিউদ্দিন (২৭), বেলায়েত হোসেন (৩১), অজিউল্লা (২৭), কামাল (২৬), জাহাঙ্গীর (৩৪) এবং তছির (৩৩)।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা