বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ধারের টাকা চাওয়ায় কোহিনুর খাতুন (৪২) নামে দুই সন্তানের জননীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সকাল ১১টায় ওই মারধরে আহত কোহিনুরকে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ধুনট থানার এএসআই শাহানুর রহমানকে ক্লোজড করা হয়েছে।
ধুনট থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বগুড়া শহরের নাটাইপাড়া বৌ-বাজার এলাকার জাকির হোসেনের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী কোহিনুর খাতুন স্বামীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে বাবার বাড়িতে থাকেন। বগুড়া জজ কোর্টের সামনে খাবারের দোকানের আয় দিয়ে কোহিনুর সংসারের খরচ চালায়। সেখানে বগুড়ায় চাকুরিকালে সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শাহানুর রহমান এর সাথে তার পরিচয় হয়। কোহিনুর এর দোকানে প্রতিদিন খাবার খেত শাহানুর রহমান। সেই সুবাদে কোহিনুর সাথে তার গভীর সখ্যতা গড়ে উঠে। এ সুযোগে ধার হিসেবে শাহানুর ৬০ হাজার টাকা নেয়। এরপর গত ২০১৬ সালে নভেম্বর মাসে শাহানুর রহমান বগুড়া থেকে বদলি হয়ে ধুনট থানায় যোগদান করেন। টাকা চেয়ে না পেয়ে কোহিনুর এর সাথে শাহানুরের সম্পর্কের ফাটল ধরে।
কোহিনুর খাতুন বলেন, শাহানুর কৌশলে আমার নিকট থেকে ৬০ হাজার টাকা নিয়েছে। সেই টাকা চাইতে ১২ জুলাই শুক্রবার সকালের দিকে ধুনট থানায় গেলে সে আমার উপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শাহানুর রহমান পিটিয়ে থানা থেকে বের করে দেয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এএসআই শাহানুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সে আমাকে মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের চেষ্টা করছিল।
খবর পেয়ে শুক্রবার দুপুরের দিকে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোকবুল হোসেন ও গাজিউর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আহত কহিনুরের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। বিকেল সাড়ে ৪টায় এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতার প্রক্রিয়া চলছে।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান জানান, ধুনট থানার এএসআই শাহানুর রহমানকে ক্লোজড করা হয়েছে। মৌখিকভাবে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বগুড়ার ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, এ ঘটনার সংবাদ পেয়ে জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন ২ কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে এসেছেন। তারা এ বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল