ঠাকুরগাঁওয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষে ৪৫৯টি পূজামণ্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে। দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষণীয় করে তুলতে প্রতিমা শিল্পীরা দিনরাত পরিশ্রম করে ফুটিয়ে তুলছেন দেবী দুর্গার এক একটি রূপ। মন্দির ও মণ্ডপগুলোতে চলছে সাজসজ্জার ব্যাপক আয়োজন।
দীর্ঘ ৬ মাস ধরে কাজ করে এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে প্রতিমা তৈরির কাজ । দুই এক দিনের মধ্যে শুরু হবে রংয়ের প্রলেপ ও অঙ্গসজ্জার কাজ। মনের মাধুরিতে রং তুলির আচরে মা দুর্গাকে সাজাবে প্রতিমা শিল্পীরা। এবার ঠাকুরগাঁও জেলায় গত বছরের চেয়ে ৪ টি বেশী মণ্ডপে পূজা উদযাপন হবে।
আগামী ৪ অক্টোবর থেকে ঠাকুরগাঁওয়ে ৬ষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবের শুরু এবং ৮ অক্টোবর দেবী বির্সজনের মধ্য দিয়ে পূজার সমাপ্তি হবে বলে জানা যায়।
তবে প্রতিমা তৈরি উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি পেলেও কাঙ্খিত মূল্য পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ কারিগরদের। কারিগর দিপু চক্রবর্তী জানান, বাঁশ, খড়, মাটিসহ সব উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে তাই পরিশ্রম আনুযায়ী আমরা ন্যায্য দাম পাই না।
উপেন চন্দ্র জানান, বাপ-দাদার ঐতিহ্য ধরে রাখতেই তারা এই পেশায় এখনো নিয়োজিত রয়েছেন। তবে নায্য পারিশ্রমিক না পেয়ে অনেকেই এ পেশা ছেড়ে দিচ্ছেন। তিনি বলেন, সরকারের সহযোগীতা পেলে ভালো হতো। পূজা উপলক্ষে জেলা জুড়ে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঠাকুরগাঁও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অরুনাংশু দত্ত টিটো। তিনি জানান, ঠাকুরগাঁও জেলা শান্তি ও সম্প্রীতির জেলা। এখানে সকলের সহযোগিতায় দুর্গোৎসব পালিত হয়ে থাকে। উৎসবমূখর পরিবেশে দুর্গা পূজা পালনের লক্ষ্যে এরই মধ্যে স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিদের সাথে সমন্বয় সভা করা হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, নির্বিঘ্নে পূজা সম্পন্ন করতে প্রতিটি মণ্ডপে নিরবিচ্ছিন্ন নিরাপত্তা দিতে সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি পুলিশ, আনসার সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল