ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় দুই দফায় মোট ১৫ জন মুক্তিযোদ্ধার সম্মানী ভাতা বন্ধ করা হয়েছে। অধিকতর যাচাই-বাছাই চলছে আরও ১১জনের। তবে ভাতা পাওয়ার জন্য তারা আপিল করতে পারবেন।
উপজেলা সমাজ সেবা কার্যালয় থেকে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব এএইচএম মহসিন রেজা স্বাক্ষরিত গত ৮ আগস্টের পত্র অনুযায়ী ২০১৬ সালে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটি কতৃক “গ” তালিকাভূক্ত ১২ জন মুক্তিযোদ্ধার সম্মানি ভাতা বন্ধ করা হয়েছে। এ তালিকায় রয়েছেন ছোলনা গ্রামের মৃত আকরামুজ্জামান ও এএইচএম আলী হোসেন, কমলেশ্বরদী গ্রামের মৃত মো. আলাউদ্দিন মিয়া ও মৃত ডা. মিয়া মো. আব্দুল কুদ্দুস, সহস্রাইল গ্রামের মো. আবুল কাশেম মিয়া, গৌরীপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান, দিঘিরপাড় গ্রামের মৃত আলেক মোল্যা, দেউলি গ্রামের ইউনুস আলী হাসান, চরবর্নি গ্রামের মৃত আবুল কাশেম ও মো. গোলাম হোসেন, উমরনগর গ্রামের মো. বাদশা মিয়া এবং হাসামদিয়া গ্রামের আবু দাউদ মোল্যা। এর আগে, গোহাইলবাড়ি গ্রামের বজলুর রহমান, লংকারচর গ্রামের হাবিবুর রহমান ও চরদ্বৈত্তেরকাঠি গ্রামের সিরাজুর ইসলামের সম্মানী ভাতা বন্ধ করা হয়।
অপরদিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সাধারণ শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান সোহাগ কতৃক গত ৩ সেপ্টেম্বর স্বাক্ষরিত পত্র অনুযায়ী ২০১৫-১৬ হতে ২০১৮-১৯ অর্থবছর পর্যন্ত নতুন অন্তর্ভূক্ত ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্য হতে উপজেলার ১১ জন মুক্তিযোদ্ধার তথ্যসমূহ অধিক যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এরা হলেন চাপখণ্ড গ্রামের মৃত অনিল কুমার বিশ্বাস, কমলেশ্বরদী গ্রামের ড. মিয়া মো. আব্দুল কুদ্দুস, ডোবরা গ্রামের খন্দকার আহম্মেদ আলী, ভীমপুর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ, তেলজুড়ি গ্রামের খন্দকার সফিকুর রহমান, শুকদেবনগর গ্রামের মৃত হাফিজুর রহমান খান, মাগুরা গ্রামের লুৎফর রহমান, কলারন গ্রামের আব্দুল মান্নান, বনমালীপুর গ্রামের মো. আব্দুস সাত্তার, দুর্গাপুর গ্রামের এসএম আবজালুল হাসান এবং বঙ্গেশ্বরদী গ্রামের মৃত শম্ভুনাথ কুণ্ডু।
এ ব্যাপারে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার কেএম জহুরুল হক বলেন, বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় অনেকেই মুক্তিযোদ্ধা বনে গেছেন। ২০১৬ সালে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটি যাদের “গ” তালিকাভূক্ত করেছিলো তাদের সম্মানী ভাতা বন্ধ করা হয়েছে। আরও যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাভূক্ত করে সুযোগ সুবিধা দেওয়ার দাবি জানান তিনি। যে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা বন্ধ করা হয়েছে তাদের সনদপত্র নিয়ে যারা সরকারি চাকরিসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নিয়েছে তাদের সে সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া উচিৎ বলে তিনি মনে করেন। উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা প্রকাশ বিশ্বাস বলেন, সম্মানী ভাতা বন্ধ হয়ে যাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের নামে অভিযোগ ছিলো। তবে এ সকল মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট ফর্মে আপিল করতে পারবেন।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক