ব্রিজ নির্মাণের অর্ধযুগ পেরিয়ে গেলেও সংযোগ সড়ক না হওয়ায় ভোগান্তি যায়নি বান্দরবানের লামা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের রেমং মেম্বারপাড়াসহ আশপাশের কয়েক গ্রামের মানুষের। রেমং মেম্বারপাড়া সংলগ্ন ফারাঙ্গা খালের ওপর ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে লামা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রিজটি নির্মাণ করে। এদিকে ব্রিজ নির্মাণ করা হলেও সড়ক না থাকায় ব্রিজটি জনগণের কোন কাজেই আসছে না বলে জানান স্থানীয়রা।
সূত্র জানায়, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় ব্রিজটি নির্মাণ করে। কিন্তু ব্রিজের উভয় পাশে মাটি ভরাট ও গাইড ওয়াল না থাকায় সুবিধার পরিবর্তে এখন সেটি তিন শতাধিক কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ পাঁচ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্ষা মৌসুমে খালের পানির স্রোতের টানে ব্রিজের উভয় পাশ থেকে মাটি সরে গিয়ে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বর্ষা মৌসুমে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত ব্রিজের উভয় পাশে গাইড ওয়াল নির্মাণসহ উঁচু করে মাটি ভরাটের জোর দাবি জানান ভুক্তভোগী পাঁচ গ্রামের বাসিন্দা।
রেমং মেম্বারপাড়ার কারবারী মং মং মার্মা অভিযোগ করে জানায়, ব্রিজটি নির্মাণের ছয় মাস পর খালের পানির স্রোতে দুই পাশের সংযোগ সড়ক ভেসে যায়। যার কারণে ব্রিজ থাকা সত্ত্বেও চলাচল করা যাচ্ছে না, ফলে স্থানীয়দের কষ্টের শেষ নেই। এ বিষয়ে গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাথোয়াইচিং মার্মা জানান, কর্মসৃজন কর্মসূচির মাধ্যমে রেমং মেম্বারপাড়া সংলগ্ন ব্রিজটির উভয় পাশে মাটি ভরাট করা হয়েছিল। কিন্তু বর্ষায় পানির স্রোতের টানে তা ভেসে গেছে।
এ ব্যাপারে লামা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মজনুর রহমান বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অর্থায়নে ফারাঙ্গা খালের ওপর ব্রিজ নির্মাণ করা হয়, খালের পানির স্রোতের টানে মাটি সরে গেছে। নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে পূণরায় ব্রিজের উভয় পাশে গাইড ওয়াল নির্মাণ ও মাটি ভরাট করে দেয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক