বলাৎকারে বাধা দেয়ায় জীবন গেল শিশু আসিফের। বগুড়ার শেরপুরে হত্যাকাণ্ডের শিকার আসিফ হাসান (৮) বলাৎকার করতে বাধা দিয়েছিল কিশোর সিয়াম (১৬) কে। একারণেই নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে শিশু আসিফ। পুলিশের হাতে গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে সিয়াম আহম্মেদ তুহিন।
বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে শিশুর হত্যাকারী সিয়ামের বাড়ির শোয়ার ঘরের খাটের নিচে থেকে বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সিয়াম ও তার বাবা-মা ভাইকে পুলিশ আটক করেছে। আসিক হাসান (৮) শেরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর পূর্ব যমুনা পাড়া এলাকার মঞ্জুর হাসানের ছেলে।
বগুড়ার শেরপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান জানান, বুধবার বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে বিকেল সাড়ে ৬ টার দিকে শিশু আসিফের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪জনকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত সিয়াম বাবু তুহিন পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে শেরপুর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
আটক সিয়ামের উদ্ধৃতি দিয়ে অতি. পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান জানান, সিয়াম আহম্মেদ তুহিন একাধিকবার শিশু আসিফকে বলাৎকার করার প্রস্তাব দিয়েছিল। এতে বার বার আসিফ না করে। বুধবার বিকেলেও আসিফকে একই প্রস্তাব দেয় সিয়াম। এতে সে রাজী না হলে কৌশলে সিয়াম তাদের ঘরের মধ্যে আসিফকে নিয়ে যায়। প্রথমে তার হাত পা বেধে আসিফকে বলাৎকারের চেষ্টা করে, তখন বাধা দিলে আসিফের গলা টিপে ধরে সিয়াম। আসিফকে হত্যার উদ্দেশ্যে বাঁশ দিয়ে মাথায় আঘাত করে। পরে তার লাশ বস্তায় ভরে খাটের নিচে লুকিয়ে রাখে।
হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে সিয়াম নিজেকে বাঁচানোর নাটক করে অজ্ঞান হওয়ার ভান করে। সকলকে জানায় তাদের ঘরে লাশ। সিয়ামের কথাবার্তায় পুলিশের সন্দেহ হলে তাকেসহ তার পিতা সুরুতজ্জামান, মাতা পারভীন ও ভাই সোহাগকে পুলিশ আটক করে। উল্লেখ্য, সিয়াম এর আগেও বলাৎকার করেছে অন্য শিশুকে তা সে স্বীকার করেছে পুলিশের কাছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে। সিয়ামকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির জন্য আদালতে নেয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক