লালন শাহ’র জন্মস্থান ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার হরিশপুর গ্রামে। তার নামে প্রতিষ্ঠিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি আজ চরম অবহেলিত। ৯০ দশকে চার কক্ষের একটি ভবন নির্মাণ হলেও আজ সেটা ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বাচ্চারা ঠিকমতো ক্লাস করতে পারে না।এলাকার মানুষ বিদ্যালয়টিতে নতুন ভবনের দাবি করলেও দীর্ঘদিনেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।
জানা গেছে ১৯৮৭ সালে এলাকার ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার কথা চিন্তা করে কিছু শিক্ষানুরাগী হরিনাকুন্ডু উপজেলার হরিশপুর গ্রামে উত্তর প্রান্তে একটি লালন শাহ প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত করেন। প্রথমে চাটাই দিয়ে ঘেরা একটি কক্ষে ক্লাস শুরু হয়। পরবর্তীতে ১৯৯৪ সালে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যায়ে চার কক্ষের একটি একতলা ভবন নির্মাণ করে দেয় সরকার। যার একটি ছোট আর বাকি তিনটি তুলনামূলক বড় কক্ষ। ছোট কক্ষে অফিসের কাজ চলে, বাকি তিনটিতে ক্লাস নেওয়া হয়। এরপর ২০১৩ সালে তাদের বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ করা হয়ছে।
ভবনটি অনেক পুরানো হওয়ায় ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। প্রায়ই ছাদ থেকে প্লাস্টার খুলে পড়ছে। ছাদ দিয়ে পানিও পড়ে।
ওই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম জানান, লালন শাহ্ এর নামের প্রতিষ্ঠান এতোটা অবহেলিত থাকবে এটা আমরা কেউ আশা করি না। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে হরিনাকুন্ডু উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্তকর্তা এস.এম আব্দুর রহমান জানান, এ বিষয়টি আমাদের জানা আছে। উপর মহুলকে জানায়েছি। তারা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন