আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল হানিফ বলেছেন, পাহাড়ী-বাঙ্গালীর হাজার বছরের কৃষ্টি কালচার নিয়ে একসাথে বসবাস করার জন্য জাতির পিতার নেতৃত্বে হিন্দু-মুসলমান, বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ দেশকে স্বাধীন করেছিল। আর জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা পার্বত্য এলাকার অশান্তি দূর করার জন্য ১৯৯৭সনে শান্তি চুক্তি করেছেন। অশান্তি দূর করে মানুষ শান্তিতে বসবাসের জন্য এই চুক্তি করা হয়েছিল। কিন্তু দু:খজনক; অনেকে ভুল তথ্য নিয়ে অস্ত্র হাতে পাহাড়ে শান্তি পরিবেশ অশান্ত করার জন্য চেষ্টা করছে। অবৈধ পন্থায় বা অবৈধভাবে অস্ত্র হাতে নিয়ে মানুষের কোন কল্যাণে আসা যায় না। পৃথিবীর কোন দেশে কেউ অস্ত্রহাতে নিয়ে মানুষের কল্যাণ বয়ে আনতে পারেনি।
সোমবার বান্দরবান রাজারমাঠে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ক্য শৈ হ্লার সভাপতিত্বে সম্মেলনে হানিফ বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটের কথা তুলে ধরে আরো বলেন, ১৯৭৫সালে জাতির পিতাকে হত্যার পর যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিল সেই দল বিএনপি দ্বারা দেশ এবং জাতি কখনো উপকৃত হয়নি। কারণ তাদের জন্মই হয়েছিল অবৈধভাবে, অবৈধ পন্থায়। অবৈধ ক্ষমতা দিয়ে কখনো জনগণের কল্যাণ করা যায় না এটা প্রমাণিত হয়েছে বার বার।
সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী এনামুল হক শামীম এমপি বলেন, ১৯৯৬ সনের আগে পাহাড়ের মানুষ দিনের বেলায়ও শান্তিতে চলাচল করতে পারতেন না। কিন্তু শান্তি চুক্তির পরে সমগ্র পাহাড়ী অঞ্চলে পাহাড়ী-বাঙ্গালী কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে। শান্তি বিরাজ করছে। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হচ্ছে। দূর্গম এলাকায়ও উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। তিনি আরো বলেন- শেখ হাসিনার কারণে সর্বক্ষেত্রে নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে, বছরের শুরুতে ৩৮কোটি বই শিক্ষার্থীরা হাতে পাচ্ছে। পদ্ধা সেতু, হাতিরঝিল, ফ্লাইওভার, কর্ণফুলী ট্র্যানেল, বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হচ্ছে, ক্রিকেটে বাংলাদেশ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের স্বপ্ন দেখে। দেশের মানুষ আজ খুশি, বিশ্ব নেতৃবৃন্দ ভ‚য়সী প্রশংসা করছে শেখ হাসিনার।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের উপ-প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমীন, কেন্দ্রীয় উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া, খাগড়াছড়ি আসনের সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, মহিলা এমপি বাসন্তী চাকমা, বান্দরবান পৌর মেয়র ইসলাম বেবী, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক বাহাদুর, কক্সবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ, খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম, সাবেক যুব ও ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক মংসুইঝপ্রু চৌধুরী অপু, উপ-প্রচার সম্পাদক শফিকুর রহমান ফারুক, চট্টগ্রাম দিক্ষণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, কক্সবাজার পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, চকরিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় কৃষকলীগ নেতা রেজাউল করিম, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহাবুব হক মুকুল, সদস্য সোনা আলী, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার দে, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক শফিকুর রহমানসহ অন্যান্যরা। সম্মেলনে পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লক্ষী পদ দাশ।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন