চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার চাকুলিয়া সীমান্তে গণি মিয়া (৩০) নামে এক বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার ভোর ৫ টার দিকে আহত অবস্থায় তাকে সীমান্ত থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে সদর হাসপাতালে মারা যান গণি মিয়া।
নিহত গণি মিয়া চাকুলিয়া গ্রামের তাহের উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, সোমবার রাতে গণি মিয়াসহ ৫-৬ জনের একটি দল গরু আনতে ভারতে যায়। ভারতের প্রবেশের পর অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তাদের ধাওয়া করলে গনি মিয়া তাদের হাতে ধরা পড়ে। পরে ভোর ৫টার দিকে সীমান্তে আহত অবস্থায় পরে থাকতে দেখা যায় তাকে। এলাকাবাসীর ধারণা, ভারতীয় বিএসএফ অথবা জনগণ তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে ফেলে রেখে যায়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের কতব্যরত চিকিৎসক ডা. সোহরাব হোসেন জানান, সকাল সাড়ে ৬টার দিকে গণি মিয়াকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। নিহতের বাম পায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর গভীর ক্ষত রয়েছে। একই সাথে পিটুনির আলামতও আছে। ধারণা করা হচ্ছে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান জানান, বাংলাদেশি নাগরিককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার ঘটনা তিনি শুনেছেন। তবে কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে এ বিষয়ে এখন নিশ্চিত নয় বিজিবি। এ বিষয়ে বিজিবি ভারতীয় বিএসএফ’র সাথে যোগাযোগ করছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন