৬ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১৪:৩৫

চকরিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে খাল ভরাটের অভিযোগ

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

চকরিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে খাল ভরাটের অভিযোগ

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের কোরালখালী এলাকায় শত বছরের প্রবাহমান কদ্দাছড়া নামের একটি শাখা খাল ভরাটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নেতার ব্যক্তিগত বসতভিটা সম্প্রসারণের অভিযোগ উঠেছে।

নবী চৌধুরী নামের এই আওয়ামী লীগ নেতা বেশ ক’দিন যাবত স্কেভেটর দিয়ে মাটি কেটে শাখা খালের একটি অংশ ভরাট করে চলছেন। 

এ কারণে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ চিরিঙ্গা-বদরখালী-মহেশখালী ব্যস্ততম সড়কের পাশের এই শাখা খালটি সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। এতে বর্ষা মৌসুমে ইউনিয়নের একটি বিশাল জনপদের পানি চলাচলে চরম বিঘ্ন সৃষ্টি হবে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ এলাকাবাসী।

স্থানীয় পরিবেশ সচেতন মহল দাবি করেছেন, পরিবেশ আইনে প্রবহমান নদী, শাখাখাল ও জলাধার ভরাট করা নিষিদ্ধ রয়েছে। সেখানে প্রকাশ্যে স্কেভেটর দিয়ে মাটি কেটে শত বছরের কদ্দাছড়া নামের শাখা খালটি ভরাটের মাধ্যমে ব্যক্তিগত বসতভিটা সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। এতে খালটি সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে।

স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ, নবী চৌধুরী এলাকায় প্রভাবশালী ও আওয়ামী লীগ নেতা। সে কারণে তিনি স্কেভেটর দিয়ে মাটি কেটে শত বছরের খালটি ভরাট করলেও আমরা ভয়ে প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছি না। 

এদিকে, বৃহস্পতিবার বিকালে বিষয়টি স্থানীয় লোকজন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমানকে অবহিত করেন। এরপর তিনি বিষয়টি দেখতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তানভীর হোসেনকে নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে সন্ধ্যার দিকে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করেন তিনি।

চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তানভীর হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্কেভেটর দিয়ে মাটি কেটে শাখা খাল ভরাটের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাই সেখানে কোনও ধরণের ভরাট কাজ না করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জমির কাগজপত্র নিয়ে উপজেলা ভূমি অফিসে উপস্থিত হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। কথার সঙ্গে কাগজের মিল থাকলে ভালো। অন্যথায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানতে চাইলে অভিযুক্ত নবী চৌধুরী ভরাট করা ওই জায়গা তাদের খতিয়ানভুক্ত বলে দাবি করেছেন।

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর