গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক, বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ ড. মুনতাসীর মামুন বলেছেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে গণহত্যার ইতিহাস আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরতে হবে। তার জন্য চাই গবেষণা। এই গবেষণাগুলো ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বৈশ্বিকভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে।
বুধবার দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে ‘বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনী দিনাজপুর’ এর আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের রজতজয়ন্তীকে সামনে রেখে ১শ’ দিনের কর্মসূচির উদ্বোধন ও গুণিজন সংবর্ধনা উপলক্ষে ‘গণহত্যা-রাজনীতি ও স্মৃতি সংরক্ষণ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
মুনতাসীর মামুন আরও বলেন, গণহত্যা ও গণকবরগুলো আমরা এখনো সঠিকভাবে চিহ্নিত বা সংরক্ষণ করতে পারিনি। মুক্তিযুদ্ধের সময় গণকবরগুলোতে স্মৃতিফলক নির্মাণ করলে যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে তাদের আত্মা শান্তি পাবে।
সভায় বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনী দিনাজপুর জেলা শাখার পক্ষ থেকে রাজনীতিবিদ হিসেবে মরনোত্তর সংবর্ধনা ক্রেস্ট প্রদান করা হয় এম আব্দুর রহিম, বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. মুনতাসীর মামুন, বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনী কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. মো. মাহবুবুর রহমান, মানবাধিকার কর্মী পদার্থ বিজ্ঞান, বিজ্ঞান লেখক অধ্যাপক অজয় রায়, স্থানীয় ইতিহাসবিদ মেহেরাব আলী।
সভা শেষে আব্দুস ছালামকে সভাপতি ও মো. সাইফুদ্দিন ইমরানকে সাধারণ সম্পাদক করে বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনী দিনাজপুর শাখার নতুন কমিটি ২৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। দিনাজপুরের সভাপতি মো. মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগটনের সাধারণ সম্পাদক মো. ছায়েদ আলী। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন গণহত্যা নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক কেন্দ্র খুলনার কোর্স পরিচালক ও বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনী’র সভাপতি প্রফেসর ড. মো. মাহাবুব রহমান।
আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর সাধারণ সম্পাদক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. চৌধুরী শহীদ কাদের। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও নজরুল পরিষদের সভাপতি ডা. শহিদুল ইসলাম খান ও দিনাজপুর সরকারি কলেজের অধ্যাপক মো. আব্দুল জলিল প্রমুখ। সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক আশা লতা রায়।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক