পাহাড়ে নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব মেরি ক্রিসমাস ডে অর্থাৎ শুভ বড়দিন। মঙ্গলবার রাত ১২. ১ মিনিটি থেকে রাঙামাটিতে শুরু হয় এ উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। নানা রঙে ঢংয়ে সেজে উৎসবে যোগ দিতে গীর্জাগুলোতে ভিড় করে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের মধ্যে খ্রীষ্ট সম্প্রদায়ভুক্ত বম, ত্রিপুরা, ম্রো, তঞ্চঙ্গ্যা সব বয়সের নারী-পুরুষ। তাদের আনন্দ উল্লাসের আমেজ ছড়িয়ে পরে পুরো পাহাড়জুড়ে।
বড়দিনকে কেন্দ্র করে পাহাড়ের খ্রীষ্ট পল্লীগুলোতে দিনব্যাপী চলে নাচ-গান, কির্তন, বাইবেল পাঠ আর প্রার্থনা। গীর্জায়গুলো সাজানো হয় নতুন রূপে। একই সাথে তৈরি করা হয় ক্রিসমাস ট্রি, যিশুর জন্মের সে গোশালাও। রঙিন কাগজে বানানো তারা চিহ্নিত আলোক সজ্জা দিয়ে সাজানো হয়েছে খ্রীষ্টপল্লী।
বুধবার সকালে রাঙামাটির কাপ্তাই চন্দ্রঘোনা ব্যাপ্টিষ্ট চার্চ এর উদ্যোগে খ্রীস্টিয়ান হাসপাতালের অডিটরিয়ামে কেক কেটে বড়দিনের আনুষ্ঠিকতা সূচনা করেন রাঙামাটি সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার। এসময় রাঙামাটি চন্দ্রঘোনা খ্রীস্টিয়ান হাসপাতালের পরিচালক ডা. প্রবীর খিয়াং, কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মফিজুল হক, কাপ্তাই উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অংসুইছাইন চৌধুরী, ১নং চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী (বেবী), চট্টগ্রাম এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক ব্যাপ্টিষ্ট চার্চ এর সভাপতি বিপ্লব মারমা উপস্থিত ছিলেন।
পরে শুভ বড়দিন উপলক্ষে সমবেত প্রার্থনা, খ্রীস্ট সংগীত পরিবেশন করা হয়। সমবেত প্রার্থনা পরিচালনা করেন চন্দ্রঘোনা ব্যাপ্টিষ্ট চার্চ সংঘের পালক রেবারেন্ড সখরীয়া বৈরাগী।
অন্যদিকে রাঙামাটির ১০টি উপজেলার বিভিন্ন খ্রীষ্টান পল্লীতে এ উৎসব পালন করা হয়। তাঁর মধ্যে বিলাইছড়ির, নানিয়ারচর উপজেলার বেতছড়ি চাকমা খ্রিষ্টানপাড়া ও পুরানপাড়া, রাঙামাটি শহরের আসামবস্তি, নতুনবস্তি, বন্ধু যীশুটিলা, রির্জাভ, কাপ্তাই উপজেলা, আনন্দ বিহার এলাকা, লুসাই পাহাড়, বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের উজানছড়ি, বেটলিং, কংলাক, লুইলুই, উল্ডলংকর গির্জাগুলোতে বড়দিন উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার