কক্সবাজারের টেকনাফে ভিক্ষুকদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন।
বুধবার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ প্রাঙণে সেই তালিকা যাচাই-বাচাই করেছে উপজেলা প্রশাসন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শাজাহান আলী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাং আবুল মনসুর, বাহারছড়ার ইউপি চেয়ারম্যান আজিজ উদ্দিন, হ্নীলার ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মুহাম্মদ আলী প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ২৫০ জন ভিক্ষুকদের মাঝে শীতবস্ত্র (কম্বল) তুলে দেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শাজাহান আলী। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ভিক্ষুক মুক্ত দেশ গড়তে সরকার তাদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ হাতে নিয়েছে।
তারই সূত্র ধরেই গত কয়েকদিন আগে একটি বৈঠকের মাধ্যামে জনপ্রতিনিধিদের স্ব-স্ব এলাকার ভিক্ষুককের তালিকায় দিতে বলা হয়। তালিকায় হাতে পাওয়ায় সেটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দ্রুত গতিতে টেকনাফ উপজেলায় কাজ চলছে। ইতিমধ্যে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার তৈরী করা ২৫০ জন ভিক্ষুককের তালিকা যাচাই-বাচাই চলছে। যাতে প্রকৃত ভিক্ষুকদের পুনর্বাসন করতে সহজ হয়। যার যার সামর্থ্য অনুসারে সরকার তাদের দোকান ঘর, ছাগল, হাঁস, মুরগি, দর্জি কাজ ও ব্যবসায়িক উপকরণ বিতরণ করবেন।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শাজাহান আলি বলেন, ভিক্ষাবৃত্তি অসম্মানজনক পেশা। তারা পরিবার-সমাজ ও দেশের সম্মান নষ্ট করছে। এর অবসান হওয়া উচিত। তাই সরকার ভিক্ষুক মুক্ত দেশ গড়ার প্রয়াসে তাদের পূর্বাসানের কাজ শুরু হয়েছে। এ লক্ষ্যে টেকনাফকে ভিক্ষুকমুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা