তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নাটোরের বড়াইগ্রাম পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেনের বেধড়ক মারপিটে মারাত্মক ভাবে আহত হয়েছেন অটো ভ্যানচালক আবুল কালাম আজাদ (৪৫) এবং তার স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৪০)। বর্তমানে মারাত্মক আহত মরিয়ম বেগম যন্ত্রণায় ছটফট করছেন বড়াইগ্রাম থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার বেলা ১১ টায় বড়াইগ্রাম পৌর এলাকার বিষ্ণুপুর গ্রামে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগ নেতার শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
জানা যায়, রবিবার বেলা ১১ টার দিকে বড়াইগ্রাম পৌর এলাকার বিষ্ণুপুর গ্রামের অটোভ্যানের চালক আবুল কালাম আজাদ বাড়ির সামনে অটোভ্যান নিয়ে রাস্তায় বের হওয়ার সময় পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামিম হোসেনের মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এসময় ছাত্রলীগ নেতা মোটরসাইকেল থেকে নেমে তাকে প্রথমে গালমন্দ ও কিল-ঘুষি মারা শুরু করে। এ সময় স্বামীকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন স্ত্রী মরিয়ম বেগম। এসময় তাকেও মারপিট করা হয়। পরে এলাকাবাসী তাকে ছাত্রলীগ নেতার হাত থেকে রক্ষা করে।
বড়াইগ্রাম পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেন জানান, আমার মামা-বাবা এমপির প্রোগ্রামে যাচ্ছিল। একটুর জন্য অটোভ্যানটির ধাক্কা লাগেনি তাদের বহনকারী বাইকের। এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে অটোভ্যান চালক বাবা ও মামাকে গালমন্দ করে। আমি তা দেখে অটোভ্যানচালককে দুই চারটে চড়থাপ্পড় মেরেছি। তার স্ত্রীকে আমি মারিনি।
বড়াইগ্রাম খানার ওসি দিলীপ কুমার দাস বলেন, এখনো অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন