নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার কালিকাপুর গ্রামে মাঠের মাঝে নির্মিত সেতুটি যেন নিষ্প্রাণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। দুই বছর আগে সেতু নির্মিত হলেও সংযোগ সড়কের অভাবে এর সুফল পাচ্ছেনা এলাকাবাসী। বরং সেতুটি এখন স্থানীয় তিনটি গ্রামের মানুষের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেতুর দু’পাশে রাস্তার নামমাত্র অস্তিত্ব থাকলেও মাটি ভরাট না করায় রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, এলাকাটি কৃষি প্রধান হওয়ায় উপজেলার জামগনগর ইউনিয়নের কালিকাপুর, চাপাপুকুর, কৈচরপাড়া গ্রামের মাঠে ধান, গম, মসুর, সরিষাসহ নানান ফসলের আবাদ হয়। সেসব ফসল মাঠ থেকে কৃষকেরা ভ্যান, পাওয়ার ট্রিলার এবং মহিষের গাড়িতে করে দীর্ঘদিন ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতেন। গত দু’বছর আগে মাঠের মাঝে ওই রাস্তায় সেতুটি নির্মাণ করা হলেও এর সংযোগ সড়ক তৈরি করা হয়নি। ফলে সমতলের রাস্তাটিও এখন আর ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
সরেজমিনে দেখা যায়, মাঠের মধ্যে সেতুটি তৈরি করা হয়েছে। সেতুর গোড়ায় কিছুটা মাটি ভরাট করা হলেও বাকি রাস্তায় কোন মাটি দেওয়া হয়নি। ফলে সেতুটি অকার্যকর অবস্থায় পড়ে আছে।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জামনগর ইউনিয়নের কালিকাপুর-চাপাপুকুর সংযোগ রাস্তায় ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে ওই সেতুটি নির্মাণ করা হয়। গ্রামীণ রাস্তায় সেতু প্রকল্পের আওতায় পিআইও দফতরের অধীনে ২৬ ফুট দৈর্ঘ্যরে সেতুটির নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২১ লাখ টাকা।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আল আমিন সরকার বলেন, আগের কর্মকর্তার সময়ে ত্রাণের এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। এ সম্পর্কে তেমন কিছু জানি না।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন
