বাগেরহাটের মোংলায় বিশ্ব জলাভূমি দিবসে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুর নাহার এমপি বলেছেন, বিশ্বের বৃহতম ম্যানগ্রোভ ফরেষ্ট সুন্দরবন। সুন্দরবন শুধু আমাদের গর্বই নয়,- ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইট। তাই, সরকার জীববৈচিত্র্যে ভরপুর রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আবাসভূমি সুন্দরবন সুরক্ষায় গুরুত্ব দিচ্ছে। ইতিমধ্যেই সুন্দরবনের ছোট খালগুলোতে মাছ আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সুন্দরবন সংলগ্ন মোংলা উপজেলার জয়মনি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিশ্ব জলাভূমি দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময় উপমন্ত্রী আরও বলেন, সরকারের পাশাপাশি এই বন সুরক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তবেই, বিশ্ব জলাভূমির এই ম্যানগ্রোভ বন সুরক্ষিত থাকবে। প্রতিটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে সুন্দরবন আমাদের বাঁচিয়ে থাকে, শুধু সে কারেণে হলেও সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য নিরাপদ রাখতে এই বন সন্নিহিত লোকালয়ের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মো. মঈনুদ্দিন খানের সভাপতিত্বে বিশ্ব জলাভূমি দিবসের আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাগেরহাট পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, পশ্চিম সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. বশিরুল আল মামুন, খুলনার বিভাগীয় বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. মোদিনুল আহসান, মোংলা উপজেলার চেয়ারম্যান আবু তাদের হাওলাদার, উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা রাহাত মান্নান প্রমুথ।
সুন্দরবনে বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির ইরাবতীসহ ৬ প্রজাতির ডলফিন সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় করমজল বন্যপ্রণী প্রজনন কেন্দ্রের কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির ও ডলফিন কনজারভেশন টিম লিডার মো মাসুদ শেখকে ১০ হাজার টাকার চেক প্রধান করেন উপমন্ত্রী।
বিশ্ব জলাভূমি দিবসের অনুষ্ঠানের শুরুতে বর্ণাঢ্য একটি র্যালি ফরেস্ট লঞ্চ ঘাট হতে জয়মনি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল