বগুড়ার নন্দীগ্রামে ওয়ারেন্টভুক্ত ১৬৭ জন আসামি ধরতে পুলিশ অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে। ওয়ারেন্টের আসামিদের ব্যাপারে পুলিশের এমন উদ্যোগ স্থানীয় মহলে সাড়া ফেলেছে। থানা সূত্রে জানা যায়, থানা পুলিশের উদ্যোগে আসামিদের নাম-ঠিকানা ও পরিচয় দিয়ে তালিকা প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদ, পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দেয়ালে সাঁটানোসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া হয়েছে।
এই থানায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামির সংখ্যা বর্তমানে ১৬৭। এর মধ্যে জি আর মামলার আসামি ১৩ জন, সি আর ৪৯ জন ও পলাতক আসামি ১০২ জন। বর্তমানে এসব পলাতক আসামিকে ধরতে নিয়মিতভাবে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। এসব আসামির মধ্যে অনেকে এক থেকে পাঁচ বছর ধরে পলাতক।
পুলিশ বলছে, এতে আসামির ব্যাপারে এলাকার মানুষ সচেতন হচ্ছে। আবার অনেকে জানতে পারে না যে, তাদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি হয়েছে। এতে নিজ উদ্যোগে অনেকে আদালতে আত্মসমর্পণ করে থানায় রি-কল জমা দিতে পারবে। পাশাপাশি অভিযুক্ত আসামিদের ধরতে জনগণের কাছ থেকে সহযোগিতাও পাওয়া যাবে। জিডি ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পেতেও জনগণকে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে নন্দীগ্রাম থানা পুলিশ এসব উদ্যোগ নিয়েছে।
জানতে চাইলে মামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার এসআই জিন্নুর রহমান বলেন, পলাতক আসামি ধরার ব্যাপারে জনগণের সহযোগিতার জন্য ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তালিকা টাঙানো হয়েছে। তাতে আসামিদের নাম-ঠিকানা ও পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে, যাতে এলাকার মানুষ তাদের চিহ্নিত করে এলাকায় দেখামাত্র পুলিশকে জানাতে পারেন।
নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শওকত কবির বলেন, থানায় ওয়ারেন্টের আসামি ধরতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আসামিদের যাতে সহজেই শনাক্ত করা যায় সেজন্য প্রতিটি এলাকায় তাদের তালিকা দেওয়া হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষও তথ্য দিচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন