অতিথি পাখির কোলাহলে মুখরিত দিনাজপুরের সুখসাগর ইকোপার্ক। প্রকৃতি প্রেমিকদের আনাগোনাসহ ভ্রমণ পিপাসুদের কাছেও এর কদর বেড়েছে। শহুরে কোলাহল থেকে মুক্তি পাওয়ার মতো নিরিবিলি পরিবেশে মায়াবি হাতছানি, এক অনুপম দৃশ্য মহিমান্বিত এই সুখসাগর যেন সুখ ও শান্তির পরশ। যে কোনো প্রকৃতি প্রেমিকের দৃষ্টি কেড়ে নেয় সহজে। সুখসাগরকে ঘিরে গড়ে তোলা হয়েছে ইকোপার্ক।
এখানে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ তথা পরিবেশের উন্নয়নে পাখির অভয়াশ্রম হিসেবে পরিণত হয়েছে। পাখির কলরবে মুখরিত ইকোপার্ক মুগ্ধ করে প্রকৃতি প্রেমিকদের। শীতের শুরু থেকে সাইবেরিয়া থেকে আসা এসব অতিথি পাখির ভিড় বেড়েছে এখানে।
সুখসাগরের অবস্থান দিনাজপুর শহর থেকে সড়ক পথে উত্তর-পূর্ব দিকে দুই কিলোমিটার দূরে রাজবাটীতে। আর রাজবাটীর পেছনেই এই ঐতিহাসিক সুখসাগর।
দিনাজপুর জেলা সদর থেকে সড়ক পথে এখানে আসা যায়। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ চিত্তবিনোদনের জন্য বা একটু নিরিবিলি সময় কাটাতেও এখানে আসে। নয়ন জুড়ানো এই সুখসাগরে দেশি পর্যটকদের ভিড় থাকে সবসময়। দিনাজপুরের রাজবাড়ী দেখতে এলে কেউ জেনেশুনে এই সুখসাগর ঘুরে যেতে ভুল করেন না।
এখানে রয়েছে বিভিন্ন গাছ-গাছালির উদ্যান। সুখসাগরের চারপাশে পথে যেতে যেতে দেখা যাবে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ ও উঁচু-নিচু পাহাড়ি পথ। সুখসাগরের পাড় দিয়ে যাওয়ার সময় দুপাশে বিভিন্ন বাহাড়ি গাছের ছায়ায় আর পাখিদের কলকাকলিতে হয়ত মনে পড়বে সেই পুরনো দিনের গান।
সুখসাগর যেন এক মোহন-মায়াবি স্বপ্নিল ভুবন। এর আয়তন ২২.৪৪ একর। শীতের মৌসুমে সুখসাগরে সূদুর সাইবেরিয়া থেকে হাজার হাজার পাখির সমাগম ঘটে। এ বিলে পাখির জলকেলি দেখার জন্য বিভিন্ন স্থান থেকে তাই ছুটে যান প্রকৃতি প্রেমিকরা। দিনভর পাখির ছবি তোলেন। শীতের শেষে আবার কিছু পাখি ফিরে গেলেও বছরের অন্যান্য সময়েও অনেক পাখি এখানে দেখা যায়।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সুখসাগর ট্যুরিজম ইকোপার্ক নির্মাণ ও আধুনিকায়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন