নেত্রকোনার কলমাকান্দায় জনশুমারি লিখিত পরীক্ষায় বহিস্কার হওয়া দুইজনের নাম উত্তীর্ণের তালিকায় প্রকাশ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার দুপুরে কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী চারজন। অভিযোগকারীরা হলেন খারনৈ ইউনিয়নের মো. কাউছার, মো. আজিজুল্লাহ, মাহফুজুর রহমান ও আল মবিন।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, সরকারের জনশুমারিতে সুপাইভাইজার ও তালিকাকারী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় গত (৬ ফেব্রুয়ারী) বৃহস্পতিবার। এতে দুটি পদের বিপরীতে ১০৪৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। তার মধ্যে তালিকাকারী পদে দুজনকে অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে বহিস্কার করা হয়। তারা হচ্ছেন, উপজেলার বিশ্বনাথপুর গ্রামের আবুল হাসানের ছেলে আবিদ হাসান (রোল ৬০) ও গোবিন্দপুর গ্রামের মো. আজিজুর রহমানের ছেলে মো. মাসুদ পারভেজ (রোল ৬১)। কিন্তু গত ৯ ফেব্রুয়ারী উত্তীর্ণের তালিকায় বহিস্কৃত দুজনের নামও প্রকাশ করা হয়। এতে করে অন্যান্য পরীক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। এছাড়াও সুপারভাইজার পদে এনজিও কর্মী, কোচিং শিক্ষক ও তথ্য সেবা কাজে নিয়োজিত কয়েকজন রয়েছেন।
কলমাকন্দা সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষক ও পর্যবেক্ষক মো. আলী উসমান বলেন, ওই পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে দেখাদেখি ও কথা বলার জন্য ইউএনও স্যারের নির্দেশে ৬ জনের খাতা পরীক্ষা শেষ হওয়ার পূর্বেই টেনে নেয়া হয়। তাদেরকে আর লেখার সুযোগ দেয়া হয়নি। পরবর্তীতে ইএনও স্যারের নির্দেশে খাতাগুলো দেখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল রানা জানান, আমি তো কাউকেই বহিস্কার করিনি। তবে খাতা নিয়ে নিয়েছি। এটির চূড়ান্ত তালিকা হবে আরও যাচাই-বাছাই করে মৌখিক পরীক্ষার পরে।
পরিসংখ্যান তদন্তকারী পুলক কুমার বিশ্বাস বলেন, ১৩০০ জনের মতো আবেদন পড়ে। পরে যাচাই-বাছাই করে ১০৪৯ জনকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য বাছাই করা হয়। তবে সার্কুলারে পরিস্কার উল্লেখ রয়েছে কোন চাকুরিজীবী থাকলে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল