শেষ মুহূর্তেও পাহাড়ে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন ফুল বাগান চাষিরা। বসন্ত, ভালবাসা ও মাতৃভাষা দিবসকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে ফুল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো। চলছে জমজমাট বেচা বিক্রি। মূলত ফেব্রুয়ারির তিন দিবসে ফুলের বাজারে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে অনেকটা চ্যালেঞ্জ নিয়ে মাঠে নামেন ফুল বাগানীরা। বেশি লাভের আশায় সংগ্রহে রাখা হয় দেশি-বিদেশি নানা প্রজাতির ফুল।
চাহিদা বেশি থাকায় পাহাড়ের গণ্ডি পেরিয়ে এ ফুল আবার পাঠানো হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ফুল এখন আর সৌন্দর্যের প্রতীক নয়। যা ক্রমান্বয়ে জাতীয় অর্থনীতি ও বৈদেশিক বাণিজ্যের অন্যতমখাত হিসেবে পরিচিতি লাভ করছে। তাই অনেকেই ফুল বাগান করে গড়ে তুলেছে নিজেদের আত্মকর্মসংস্থান। তাই প্রহেলা ফাল্গুন, ভালবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের কথা মাথায় রেখে ফুল উৎপাদন শুরু করে পাহাড়ের ফুল বাগান চাষিরা। সারা বছরই ফুলে চাহিদা থাকলেও ফেব্রুয়ারি আসলে এ চাহিদা বৃদ্ধি পায় কয়েকগুণ।
তাই রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের ফুল বাগান চাষিরা দোকানে প্রসরা সাজিয়েছে চন্দ্রমল্লিকা, গাঁদা, জারবেরা, গ্লাডিওলাস, রজনি গন্ধা ও গোলাপসহ দেশি-বিদেশি প্রায় ২০০ প্রজাতির ফুল দিয়ে। প্রায় প্রতিদিন এসব ফুল পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত।
এ ব্যাপারে রাঙামাটি ফুল বাগান মালিক মো. সালাহ উদ্দিন জানান, বসন্ত এসে গেছে। এরপর আছে ভালবাসা দিবস। এ দিবসগুলো একান্ত নিজেদের মত পালন করতে বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণীরা ভীড় করে ফুলের দোকানগুলোতে। তাদের সন্তুষ্ট করতে আগে থেকে ফুলে ফুলে দোকানগুলো সাজিয়ে রাখা হয়। চাহিদা এতোই বেশি থাকে দম ফেলার সময় থাকে না দোকানিদের। তাছাড়া এ বছর পাহাড়ে ফুলের ব্যাম্পার আবাদ হয়েছে। ফুলের বাগানগুলো এখন ফুলে ফুলে ভরপুর।
রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক পবন কুমার চাকমা বলেন, পাহাড়ে জমিতে ফুল চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। পাহাড়ের সেচ সুবিধা ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এখানে দেশি-বিদেশি ফুলের বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ সম্ভব হচ্ছে। এছাড়া কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগও ফুল চাষিদের কীটনাশকসহ উন্নত প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছে। পাহাড়ে ফুলের যে সম্ভাবনা রয়েছে তা সঠিকভাবে কাজে লাগানো গেলে ব্যাপক লাভবান হবে চাষিরা। ফুল চাষ করে কোটি টাকাও আয় করা সম্ভব এখানে। তাই ফুল চাষের প্রতি কৃষকদের উদ্ভুদ্ধ করা হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন