১২ বছরেও এমপিওভুক্ত হয়নি নাটোরের সিংড়া উপজেলার ফরিদনগর টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড বিএম কলেজ। সকল শর্ত পূরণ হলেও এমপিওভুক্তি না হওয়ায় হতাশায় ভুগছেন শিক্ষক ও কর্মচারীরা। অনেক পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছে। প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত করতে প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তারা।
জানা যায়, ২০০৮ সালে ফরিদুল ইসলামের উদ্যোগে স্থাপিত হয় ফরিদনগর টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড বিএম কলেজ। নাটোরের সিংড়া উপজেলার ১২ নং রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়নে অবস্থিত একমাত্র কলেজ এটি। মোট শিক্ষার্থী প্রায় ৩৫০ জন। শিক্ষক ও কর্মচারী রয়েছে ৩২ জন। ভোকেশনাল শাখায় ৪টি ট্রেড এবং বিএম শাখায় ৪টি ট্রেড রয়েছে।
কলেজটিতে প্রতিদিন জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে কার্যক্রম সূচনা হয়। এর ১৬টি শ্রেণি কক্ষ রয়েছে। রয়েছে তিনটি একতলা ভবন। এছাড়া একটি সুবিশাল খেলার মাঠ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের বিনোদন এবং খেলাধুলার সামগ্রীও রয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপির সহযোগিতায় কলেজটিতে শেখ রাসেল কম্পিউটার ল্যাব স্থাপিত হয়েছে। সেখানে তথ্য প্রযুক্তিতে শিক্ষার্থীদের দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ ফরিদুল ইসলাম।সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে নাটোর- বগুড়া মহাসড়কের পাশ ঘেষে আজুর দরগা নামক স্থানে অবস্থিত এ কলেজটি এলাকায় উচ্চ শিক্ষা প্রসারে অবদান রেখে চলেছে। প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থিত এই কলেজের অবকাঠামো, শিক্ষার্থী সংখ্যা, ফলাফল সন্তোষজনক হলেও এমপিওভুক্তি মেলেনি। এজন্য কলেজটিকে এমপিওভুক্ত করে শিক্ষার পরিবেশকে গতিশীল এবং শিক্ষকদের পরিবার পরিজন নিয়ে সুন্দরভাবে বাঁচতে প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম
