ঠাকুরগাওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার বেশির ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনার ছাড়াই পালন করবে দিবসটি। কোনোটিতে আবার অস্থায়ীভাবে শহীদ মিনার বানিয়ে দিবসটি পালন করা হবে।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, উপজেলায় ১৫৬টি সরকারি প্রাথমিক, ৫২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১২টি কলেজ, ১৯টি মাদ্রাসা ও অর্ধশতাধিক কিন্ডারগার্টেন রয়েছে। ১৫৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভ ছাড়া ১৫৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোনোটিতেই নেই শহীদ মিনার। এছাড়াও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ১৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া বাকি গুলোতে নেই শহীদ মিনার। ৫২টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৭ টি বিদ্যালয়ে এবং ১২টি কলেজের মধ্যে ৯টি তেই নেই শহীদ মিনার এবং উপজেলার ১৯টি মাদ্রাসার মধ্যে কোনোটিতেই শহীদ মিনার নেই।
ভাষা আন্দোলনের ৬৮ বছরেও উপজেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার স্থাপন না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে মুক্তিযোদ্ধা হবিবর রহমান বলেন, দেশ উন্নয়নের সাথে সাথে এক সময় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার স্থাপন হবে। অথচ এখানে দেখা যাচ্ছে বেশির ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার। আমি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আহবান জানাবো আগামী প্রজন্মকে ভাষা শহীদদের ইতিহাস জানার স্বার্থে প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার দ্রুত স্থাপন করা হোক।উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোকছেদুর রহমান বলেন, সরকারিভাবে বরাদ্দ হলে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার স্থাপন করা হবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আলী শাহরিয়ার বলেন, কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার রয়েছে। সরকারিভাবে সহযোগিতা পেলে পর্যায়ক্রমে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার স্থাপন করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী আফরিদা জানান, সরকারিভাবে প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পর্যায়ক্রমে শহীদ মিনার নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন