সিরিয়ার প্রভাবশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)-কে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা থেকে বাদ দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, চলমান রাজনৈতিক বাস্তবতা এবং সিরিয়ার নতুন সরকার গঠনের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে ওয়াশিংটন।
একসময়ের আল-কায়েদার সহযোগী এই গোষ্ঠী, যা আগে আল-নুসরা ফ্রন্ট নামে পরিচিত ছিল, ২০১৬ সাল পর্যন্ত সিরিয়ায় সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত ছিল বলে পরিচিত। তবে সর্বশেষ রাজনৈতিক উত্থানে এইচটিএসের নেতৃত্বেই দীর্ঘ ৫৪ বছরের শাসক বাসার আল-আসাদ সরকার উৎখাত হয়, এবং দলটির নেতা আহমেদ আল-শারা বর্তমানে সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ২৩ জুন এক নির্বাহী আদেশে সিরিয়ার ওপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু করেন। হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে জানানো হয়, এই সিদ্ধান্তের লক্ষ্য সিরিয়ায় ‘স্থিতিশীলতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করা’ এবং ‘আন্তর্জাতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের পরিবেশ তৈরি করা’।
তখন হোয়াইট হাউস জানায়, ‘স্থিতিশীলতা ও শান্তির পথ’ সমর্থন করার উদ্দেশ্যে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এতে আরো বলা হয়, ‘ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণের’ পাশাপাশি ‘বিদেশি সন্ত্রাসীদের মোকাবেলা’ এবং ‘ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে নিষিদ্ধ করা’সহ সিরিয়ার নতুন সরকারের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করবে যুক্তরাষ্ট্র।
সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শিবানি আশা করছেন, এই পদক্ষেপ অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ‘বাধা দূর করবে’ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সিরিয়ার দ্বার খুলে দেবে। সিরিয়া সরকার বলেছে, ইসরায়েলের সঙ্গে ১৯৭৪ সালের ডিসএনগেজমেন্ট চুক্তি পুনরায় চালুতে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক।
সূত্র : আল-জাজিরা ও বিবিসি।
বিডি-প্রতিদিন/শআ