ক্রিকেটে আম্পায়ারিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফের আলোচনায় ওঠে এসেছেন বাংলাদেশের শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনায় নিজের দক্ষতার পরিচয় দেখাচ্ছেন আইসিসির এলিট প্যানেলে প্রথম বাংলাদেশি এ আম্পায়ার। এর আগেও তার বেশকিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনার ঝড় ওঠে। এবার এজবাস্টনে ভারত-ইংল্যান্ড টেস্টে নিখুঁত আম্পায়ারিং করে প্রশংসায় ভাসছেন সৈকত। তার ৮০ শতাংশ সিদ্ধান্তই ছিল সঠিক। এ ছাড়া ম্যাচে ইংলিশ পেসার ক্রিস ওকস ও অধিনায়ক বেন স্টোকস একাধিক সিদ্ধান্ত দলের পক্ষে না যাওয়ায় মাঠে হতাশা প্রকাশ করেছেন।
রবিবার ইংলিশদের ৩৩৬ রানে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফেরায় ভারত। ম্যাচে দুই পক্ষের চাপের মধ্যেও সৈকত দায়িত্ব পালনে ছিলেন স্থির ও আত্মবিশ্বাসী। ম্যাচে মোট ১০ বার সৈকতের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রিভিউ নেওয়া হয়। এর মধ্যে মাত্র দুবার সিদ্ধান্ত বদল করতে হয়েছে। বাকি ৮ বারই সঠিক ছিল। এমন দুর্দান্ত আম্পায়ারিংয়ে সৈকতকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে। ম্যাচ শেষে এ ক্রিকেট বিশ্লেষক বলেন, ‘এই ম্যাচে আম্পায়ারিং অসাধারণ হয়েছে। ক্রিস গ্র্যাফানির কাছ থেকে তো মান আশা করা যায়ই, কিন্তু শরফুদ্দৌলা সৈকত দুর্দান্ত ছিলেন।’ এ টেস্টে সৈকতের সঙ্গে ছিলেন নিউজিল্যান্ডের ক্রিস গ্র্যাফানি, যিনি পাঁচটি রিভিউর মধ্যে চারটিই সঠিক দেন।
এবার সৈকতের আলোচিত সিদ্ধান্ত ছিল ইংলিশ অধিনায়ক বেন স্টোকসের এলবিডব্লিউ। ওয়াশিংটন সুন্দরের এক ডেলিভারিতে বল ও ব্যাট কাছাকাছি থাকায় বিষয়টি ছিল জটিল। তবে সৈকতের সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমাণিত হয় বল ট্র্যাকিংয়ে। বল প্রথমে প্যাডে লাগে, তারপর আঘাত করে স্টাম্পে। এমন মুহূর্তের সূক্ষ্ম সিদ্ধান্ত দেওয়ায় তার পর্যবেক্ষণ দক্ষতা নিয়ে প্রশংসা করছেন অনেকেই। ৪৮ বছর বয়সি সৈকতের জন্য এটি আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বীকৃতি। ১০ জুলাই লর্ডসে তৃতীয় টেস্টে অন-ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। গত ডিসেম্বরে বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির মেলবোর্ন টেস্টে জয়সোয়ালকে তৃতীয় আম্পায়ার হিসেবে আউট দিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছিলেন শরফুদ্দৌলা।