দেশের ৫টি মৎস্য অভয়াশ্রমে সব ধরনের মাছ শিকার ২ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করেছে সরকার। ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে প্রতিবছর পহেলা নভেম্বর থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সবগুলো অভয়াশ্রমে সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে মৎস্য বিভাগ।
এদিকে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে রবিবার সকাল থেকে অভায়াশ্রমগুলোতে অভিযান শুরু করে মৎস্য বিভাগ ও কোস্টগার্ড।
বরিশালের কীর্তনখোলা, কালাবদর ও আড়িয়াল খাঁ নদীর নবীনগর ও ঝুনাহর নদীর মোহনা থেকে শুরু হয় এই অভিযান। প্রথম দিনে বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু অবৈধ জাল জব্দ করে কোস্টগার্ড ও মৎস্য বিভাগ। তবে নিষিদ্ধ এলাকায় জেলেরা সরকারের নির্দেশ মেনে মাছ ধরা বন্ধ রেখেছে।
মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, অভয়াশ্রমে বরিশালের ৮২ কিলোমিটারের মধ্যে জেলেদের তেমন একটা চাখে পড়েনি। নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে জেলে সহ সংশ্লিস্ট সবার সহযোগীতা কামনা করেন মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
বরিশাল, ভোলা, চাঁদপুর, শরীয়তপুর ও লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন নদীর ৩৯২ কিলোমিটার এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। তবে অপর অভয়াশ্রম পটুয়াখালীর আন্ধারমানিক নদীর ৪০ কিলোমিটার এলাকায় নভেম্বর থেকে জানুয়ারী পর্যন্ত এই ৩ মাস মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল।
বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আজিজুল হক জানান, ইলিশের উৎপাদন সহ অন্যান্য দেশীয় প্রজাতির মৎস্য সম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে পহেলা মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত অভয়াশ্রম এলাকায় সব ধরনের মাছ শিকার বন্ধ। এই সময়ে দেশীয় প্রজাতির মাছ অভয়াশ্রম এলাকায় বেশী বিচরন করে এবং ডিম অবমুক্ত করে। নিষেধাজ্ঞাকালীন কোন জেলে অভয়াশ্রম এলাকায় মাছ শিকার করতে পারবেন না। তবে অভয়াশ্রম নয় এমন নদীতে জেলেরা মাছ শিকার করতে পারবেন বলে জানান।
এবার নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে বরিশাল জেলায় নিবন্ধিত ৩১ হাজার ৫১৫টি জেলে পরিবারকে খাদ্য সহায়তা হিসেবে ৪০ কেজি করে ২ বারে মোট ৮০ কেজি চাল দেবে সরকার।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার