কক্সবাজারর টেকনাফে জাদিমাড়া রাহিঙ্গা শিবিরের পশ্চিম পাহাড়ে আধিপত্য বিস্তারে গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। র্যাবের সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনার একদিন পর জকির ও তার দলবল এ গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটায় বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার বিকালে ক্যাম্প ২৬ ও ২৭ নম্ববরের মাঝখানের পাহাড়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রোহিঙ্গাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
রোহিঙ্গারা জানায়, মঙ্গলবার বেলা ১ টার দিকে একটি অস্ত্রধারী দল রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পশ্চিম পাহাড়ে অবস্থান নেয়। পরে সেখান থেকে নেমে র্যাবের সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু গুলিবর্ষণ করে। এ সময় আশপাশের রোহিঙ্গা লোকজন ভয়ে ঘরের ভেতর ঢুকে পড়ে এবং পুরো শিবিরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ক্যাম্পের কিছু খারাপ লোকজন তাদের সোর্স হিসেবে কাজ করেছেন বলে জানিয়েছে ওই দুই ক্যাম্পের বাসিন্দা। এর ফলে ক্যাম্পে বসবাসকারী ও কতিপয় এনজিও চলাচল সীমিত করে দিয়েছে।
রোহিঙ্গারা আরও জানান, দুপুরে জাদিমাড়া ও শালবাগান ক্যাম্পের পশ্চিম পাহাড়ের রোহিঙ্গা শীর্ষ সন্ত্রাসী জকির বাহিনীর লোকজন আকস্মিক প্রায় ২০-২৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে আতংক সষ্টি করে। এই ফাঁকা গুলি বর্ষণের খবর পেয়ে ক্যাম্পে নিয়াজিত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য এবং আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলে দুষ্কৃতিকারীরা পালিয়ে যায়।
টেকনাফ সিপিসি-১ ক্যাম্পের ইনচার্জ লে. মির্জা শাহেদ মাহাতাব বলেন, জকির ডাকাতসহ একটি দল পাহাড়ে গুলি বর্ষণের খবর রোহিঙ্গাদের কাছে শুনেছি। ডাকাতদের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে সাদা পাশাকে র্যাবের টহল নিয়াজিত রয়েছে। যেকোন মূল্য দূষকৃতকারীদের মূলোৎপাটন করা হবে।
প্রসঙ্গত, ২ মার্চ (সোমবার) ভোররাত থেকে হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুড়া-নয়াপাড়া ২৬ নং ও ২৭ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পশ্চিমের পাহাড়ে থেমে থেমে র্যাব ও ডাকাত দলের মাঝে পাল্টাপাল্টি গুলাগুলিতে ৭ রোহিঙ্গা ডাকাত নিহতের ঘটনায় র্যাব বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় অজ্ঞাতনামা আসামীদর বিরুদ্ধ তিনটি পৃথক মামলা দায়র করেছেন (মামলা নং-১৪,১৫,১৬) ২০ইং। অস্ত্র, ডাকাতির চেষ্টা, সরকারী কাজে বাধা প্রদান ও হত্যাকান্ডের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়র করা হয়েছে বলে লে. মির্জা শাহদ মাহাতাব জানিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল