টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় তন্নি (২৫) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মত্যু হয়েছে। বুধবার দুপুর ১২টা দিকে তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে স্বজনরা।
এছাড়াও টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নুরুল হক (৬৫) নামে এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মাদকাসক্ত ছেলের বিরুদ্ধে।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দাইন্যা উত্তর রাম পাল গ্রামের আমীর হামজার অভিযোগ করে বলেন, ২০১৭ সালে তার মেয়ে তন্নির সাথে আলআমিনের বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় আমার মেয়েকে মারধর করতো। মঙ্গলবার রাতে আমার মেয়ে গলা টিপে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে তন্নির স্বামী আলআমিন তার শ্বাশুড়ী রোকেয়া বেগম, ভাসুর রফিকুল ইসলাম পলাতক রয়েছে।
অপরদিকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নুরুল হক (৬৫) নামে এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মাদকাসক্ত ছেলের বিরুদ্ধে। হত্যাকান্ডের সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগে ছেলের বউ রোকেয়া আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের বাগজান গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মাদকাসক্ত ছেলে লাভলু মিয়া পলাতক রয়েছে।
টাঙ্গাইল মডেল থানার ওসি মীর মোশারফ হোসেন জানান, লাশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছে সে আত্মহত্যা করেছে।
এদিকে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সায়েদুর রহমান জানান, মঙ্গলবার বিকেলে মাদকাসক্ত ছেলে লাভলু (৩০) জেল থেকে জামিনে বের হয়। লাভলুকে জেল থেকে ছাড়াতে তার স্ত্রী রোকেয়ার ২০হাজার টাকা খরচ হয়েছে বলে জানায়। এই ২০ হাজার টাকা লাভলু তার বাবাকে পরিশোধ করতে চাপ দেয়। কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে লাভলু ও তার স্ত্রী রোকেয়া মিলে বৃদ্ধ বাবাকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে মির্জাপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রোকেয়াকে আটক করে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার