ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে ছেলে ও নাতি-নাতনির হাতে মারধরের স্বীকারের অভিযোগ করেছেন জয়গন বেগম নামের ৭০ বছরের এক বৃদ্ধা। জয়গন চর হরিরামপুর ইউনিয়নের মধ্য শালিপুর গ্রামের মৃত তোতা বেপারীর স্ত্রী। শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জয়গন জানান, তার বড় ছেলে তোতা বেপারী (৫৫) অন্যান্য ভাইদের জমি দখলের চেষ্টা করেছে। শুক্রবার জয়গনের ছোট ছেলে তৌহিদ বেপারী নিজের জায়গায় ঘর তুলতে গেলে অপর ছেলে শাহজাহান বেপারী, শাহজাহানের ছেলে সুমন বেপারী (৫৫), মেয়ে স্বর্না আক্তার (২৮) ও স্ত্রী নার্গীস আক্তার (৪৫) বাধা দেয়। ঘটনার এক পর্যায়ে মারামারি বাঁধে। সে সময় জয়গন ছোট ছেলেকে রক্ষা করতে গেলে সকলে মিলে তার উপর চড়াও হয়। এ সময় সুমন তার তল পেটে লাথি দিলে তিনি পড়ে যান। এর কিছুক্ষণ পর তার রক্তক্ষরণ হতে থাকে। পরে তাকে চরভদ্রাসন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি ঐ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ব্যাপারে তৌহিদ চরভদ্রাসন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
চরভদ্রাসন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর চিকিৎসক জেরিন আফরিন জানান হাসপাতালে আসার আগেই হয়তো রক্তবন্ধ হয়ে গেছে। এ সময় রক্তের কোন উপসর্গ পাওয়া যায়নি। তবে তলপেটে প্রচুর ব্যাথা থাকায় তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে ও ভর্তি রাখা হয়েছে ।
মুঠোফোনে শাহজাহান বেপারীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জমিজমা নিয়ে সুমনের সাথে তৌহিদের ঝামেলা হয়। এসময় ফিরাতে আসলে মায়ের গায়ে হয়তো আঘাত লাগতে পারে। কিন্তু আমরা কেউ তাকে মারিনি, এটা মিথ্যা ও বানোয়াট। মা তার ছোট ছেলের পক্ষ নিয়ে মিথ্যা বলছেন।
চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজনীন খানম বলেন, মারামারির বিষয়ে উভয় পক্ষই গতকাল রাতে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনার তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা