ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে ইটভাটায় কর্মরত ট্রাক্টর শ্রমিক রিপনের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে রিপনের বাবা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। এর আগে ওইদিন সকালে রিপনের বাড়ির পার্শ্বে একটি পাগলু গাড়িতে করে বস্তায় ভরে রিপনের লাশ ফেলে যায় ইটভাটার কর্মরত লোকেরা। তবে লাশ কারা রেখে গেছিল তার কথা এখনও পরিষ্কার করেনি পুলিশ।
মামলার আসামিরা হলেন-জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ এলাকার ট্রাক্টর চালক মিলন, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের বিশ্রামপুর গ্রামের হেলপার আল আমিন ও সবুর। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে মিলন ও আল অমিনকে গ্রেফতার করে। মিলন রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ এলাকার জামরুল ইসলামের ছেলে এবং আল আমিন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চড়তা বিশ্যামপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
নিহত ট্রাক্টর শ্রমিক রিপন আলী (১৯) জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার নজরুল ইসলামের পুত্র। সে স্থানীয় দানেশ নামে এক ব্যক্তির ইট ভাটায় ট্রাক্টর শ্রমিক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত ছিলো।
তবে এটি হত্যাকাণ্ড নয়, সড়ক দুর্ঘটনায় ওই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন ইটভাটার মালিক দানেশ আলী। তিনি জানান, বুধবার গভীর রাত্রে ট্রাক্টরের খড়ি আনার সময় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভেলাজান নামক স্থানে প্রতিবন্ধী স্কুলের সামনে ট্রাক্টর উল্টে খড়িতে চাপা পড়ে রিপন ও আল আমিন। দুজনকে বাঁচানোর জন্য হাসপাতালে নিয়ে গেলে রিপন মারা যান। তবে কোন হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল তার কথা বিস্তারিত জানাতে পারেননি ইটভাটার এই মালিক।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার এএসআই হারুন জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ রিপনের লাশ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারকে ফেরত দিয়েছে। হেলপার আল আমিন ও শিলনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম