ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে নওগাঁর ধামইরহাটে দুইশ বছরের প্রাচীন আলতাদিঘী জাতীয় উদ্যানে ছেড়ে দেওয়া হলো ২৯টি পরিযায়ী পাখি ‘চখাচখি’। শনিবার দুপুরে ২৯টি ‘চখাচখি’ পাখি অবমুক্ত করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার।
জানা গেছে, দিঘীর ২৬৪ একর প্রাচীন শালবনের মাঝখানে রয়েছে প্রায় ৪৩ একর আয়তনের এক বিশাল দিঘী। এর জলসীমার দৈর্ঘ্য ১.২০ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ০.২০ কিলোমিটার। যার নাম আলতাদিঘী। এটি বর্তমানে জাতীয় উদ্যান। চলতি বছর শীত মৌসুমে বালিহাঁসসহ নাম না জানা হাজার হাজার অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে ওঠে এই দিঘী। পর্যটকদের আকর্ষণ করে তুলতে আলতাদিঘী জাতীয় উদ্যানটিতে বিরল প্রজাতির গন্ধগোকুল, মেছোবাঘ, তক্ষক, বনবিড়াল, কালিম পাখি অবমুক্ত করা হয়।
ধামইরহাট বনবিট কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান জানান, গত ২২ জানুয়ারি সকালে রাজশাহীর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান ও বন্যপ্রাণি পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির পবা উপজেলার গহমাবোনা পদ্মার পাড়ে দুটি বস্তার ভেতর থেকে ২৯টি পাখিগুলো আটক করেন। এরপর থেকে পাখিগুলো রাজশাহীতে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে রাখা হয়েছিল। লাল ঠোঁট আর সাদা বুকে ফিতা পরা এই হাঁসের মাথা ও ঘাড়ে চকচকে সবুজ-কালোয় মেশানো মোহনীয় রং।
পাখিগুলো দেখতে খয়েরি ও দেশি প্রজাতির হাঁসের মতো। মূলত বাংলাদেশে শীতকালে এদের বেশি আগমন ঘটে। আবার শীত ফুরলে তারা চলে যায়। বিরল প্রজাতির এই পরিযায়ী পাখিগুলো পদ্মার চড়ে থাকতে ভালোবাসে। অবমুক্তকালে বিভিন্ন অতিথি পাখির কলতানে মুখরিত হয় দিঘী। যা দেখে মুগ্ধ হয় আগত দর্শনার্থীরা।
এ সময় রাজশাহী বিভাগীয় বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান, বনবিভাগের নওগাঁ সহকারী বন সংরক্ষক মেহেদিজ্জামান, উপজেলা চেয়ারম্যান আজাহার আলী, ইউএনও গনপতি রায়, ওয়াইল্ড লাইফের ফরেস্টার আশরাফুল ইসলাম, ধামইরহাট বনবিট কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ পত্নীতলার কমিটির সভাপতি সুমন কুমার শীল, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফেডারেশনের (বিবিসিএফ) সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন