দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল আলম বলেছেন, করোনাভাইরাসকে সামনে রেখে যারা মাস্ক-হ্যান্ড স্যানিটাইজারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অতিরিক্ত মুনাফা লুটছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নেশা করার জন্য ব্যথার ওষুধ ট্যাপেন্টডল ট্যাবলেট ফার্মেসিতে বিক্রয় হচ্ছে। আগামী ৩ দিনের মধ্যে সকল ফার্মেসি থেকে ওই ট্যাবলেটটি প্রত্যাহার করতে হবে। কোনো ওষুধের দোকানে যদি তা পাওয়া যায় তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া কোনো প্রকার এন্টিবায়োটিক বিক্রয় করা যাবে না।
বুধবার জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং ওষুধ প্রশাসন দিনাজপুরের সহযোগিতায় করোনাভাইরাস-এর আবির্ভাবে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজারের মূল্য বৃদ্ধি ও ট্যাপেন্টডল, এন্টিবায়োটিকসহ অন্যান্য ওষুধের ব্যবহার রোধকল্পে ওষুধ কোম্পানীর ডিপো ইনচার্জ, আর.এস.এম ও বি.সি.ডি.এস সদস্যদের সাথে মত বিনিময় সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ওষুধ প্রশাসন দিনাজপুরের সহকারী পরিচালক এস.এম সুলতানুল আরেফিনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শরিফুল ইসলাম।
বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন এসকেএফ ফার্মাসিটিক্যালস-এর আর.এস.এম নির্মল কুমার রায়, ঢাকা মেডিকেল স্টোরের স্বত্ত্বাধিকারী মো. মিনারুল, জেসন ফার্মাসিটিক্যালের প্রতিনিধি, এসিআই লি.-এর ডিপো ইনচার্জ মো. মমিন।
এদিকে, করোনাভাইরাস সামনে রেখে সাধারণ মানুষের মাঝে মাক্স ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। বেশীরভাগ মানুষই মাক্স ছাড়া বাড়ির বাহিরে বের হচ্ছেন না। মাস্ক ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা দেখা দিয়েছে। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ২০ টাকার মাস্ক ১০০ টাকায় বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ সাধারণ মানুষের।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম