মুজিববর্ষ উপলক্ষে সাতক্ষীরায় বঙ্গবন্ধু স্মৃতি গোল্ডকাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ মাঠে ১৩তম বঙ্গবন্ধু স্মৃতি গোল্ডকাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ সৃষ্টি হতো না। তিনি ছিলেন সর্বকালের সেরা মানব। মহৎ ব্যক্তিত্বের অধিকারী এই মহামানবের আদর্শকে ধারণ করে আমাদের কাজ করতে হবে। তিনি যেমন দেশপ্রেমিক ছিলেন তেমনি তারই কন্যা শেখ হাসিনাও একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আরও বলেন, সাতক্ষীরার অনেক ক্রিকেটার এখন দেশের সম্মান তুলে ধরছে বিশ্বের কাছে। আগামীতেও খেলাধুলায় সাতক্ষীরার সন্তানরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে দেশের সুনাম বৃদ্ধিতে অংশীদার হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খেলাধুলার প্রতি আন্তরিক। তিনি ক্রীড়াঙ্গনকে আরও শক্তিশালী ও উন্নত করার জন্য তার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। খেলাধুলার উন্নয়নে ইতোমধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও প্রধানমন্ত্রী নিয়েছেন যা ইতোপূর্বে কোনো সরকার নেননি।
উদ্বোধনী ম্যাচে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, সাতক্ষীরা-১ আসনের এমপি মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, টুর্নামেন্টের প্রধান পৃষ্ঠপোষক সাতক্ষীরার কৃতি সন্তান এফবিসিসিআই পরিচালক, বাংলাদেশ মানবাধিকার উন্নয়ন কমিশনের চেয়ারম্যান, দৈনিক ভোরের পাতা ও দ্য ডেইলি পিপলস্ টাইম সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসান সিআইপি, জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ নজরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ মোস্তাফিজুর রহমান, জাতীয় ক্রিকেটার রুবেল হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ড. কাজী এরতেজা হাসান আমন্ত্রিত মন্ত্রীবর্গ এবং সাতক্ষীরাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, সাতক্ষীরায় আমার জন্ম, এই দায়বদ্ধতা থেকেই আমি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি গোল্ডকাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের পৃষ্ঠপোষকতায় এসেছি। তাছাড়া ২০১৬ সালের বিপিএলে রংপুর রাইডার্সের চেয়ারপারসন এবং সর্বশেষ বঙ্গবন্ধু বিপিএলে সিলেট থান্ডারের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি।
ড. কাজী এরতেজা হাসান আরও বলেন, সাতক্ষীরার মতো বিএনপি-জামায়াত অধ্যুষিত এলাকায় জন্ম নেওয়ার পরও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আমাদের পুরো পরিবারই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। সেই ধারায় আমিও আওয়ামী লীগের রাজনীতিই করছি। জাতির জনকের কন্যা, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন কর্মী হিসেবে আমি বরাবরই আদর্শিক লড়াই চালিয়ে গেছি। এ লড়াই অব্যাহত থাকবে ইনশাল্লাহ।
সাতক্ষীরায় এতবড় আয়োজনে সহযোগিতা দেওয়ার জন্য ড. কাজী এরতেজা হাসান সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
টুর্নামেন্টের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ড. কাজী এরতেজা হাসান বলেন, সাতক্ষীরার জনগণ তার পাশে থাকলে তিনি সাতক্ষীরার উন্নয়নে তার সব রকম সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে পারবেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ। উদ্বোধনী শেষে সাতক্ষীরা শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র ও সাতক্ষীরা একাদশের মধ্যে একটি প্রীতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর আগামী ১৩ মার্চ শুক্রবার সকাল ৯ টায় শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র বনাম গণমুখী সংঘ, ১৪ মার্চ ইউনুস আলী স্মৃতি সংসদ বনাম যশোরের ম্যাগপাই ক্লাব, ১৫ মার্চ ইউনাইটেড ক্রিকেট ক্লাব বনাম খুলনার বয়রার তরুণ সংঘ এবং ১৬ মার্চ ইয়াং বলাকা ক্রীড়া চক্র বনাম টাউন স্পোটিং ক্লাবের মধ্যে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। পুরো অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দফতর সম্পাদক শেখ হারুন আর রশিদ।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন
