বরগুনার পাথরঘাটায় ৩৯ নং জ্বীনতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে স্কেবেটর (ফেকু মেসিন) দিয়ে অবৈধভাবে পুকুর খনন করা হয়েছে। পাশাপাশি পুকুরের চারপাশে বেড়া দিয়ে সবজির চারা রোপন করেছেন চরলাঠিমারা গ্রামের আব্দুল খালেক ও তার ছেলে রফিক। এ সময় ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. জামাল হোসেন দখলকারীদের সাথে থেকে খনন কাজে সহায়তাও করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, পাথরঘাটা উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৩৯ নং জ্বিনতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠ দখল করে স্কুলের পাশ্ববর্তী খালেক মুন্সি ও তার ছেলে রফিকুল ইসলাম ছেলে গত মঙ্গলবার স্কেবেটর দিয়ে পুকুর খনন করেন। এছাড়াও পুকুরের চার পাশে জাল দিয়ে বেড়া দিয়েছে সবজির গাছও রোপন করা হয়েছে। ওই জমি বিদ্যালয়ের নামে হওয়া সত্বেও পুকুর খনন করায় এলাকাবাসীর মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। কয়েকদিন ধরে ওই বিদ্যালয়ের কচিকাচা শিক্ষার্থীরা মাঠে খেলাধুলা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে।
ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আমেনা, রুকাইয়া, সোহেল, জুবায়ের জানায়, মাঠে পুকুর কাটার কারণে খেলাধুলা বন্ধ হয়েছে, পাশাপাশি ঝুঁকির মধ্যে আছি।
এ ঘটনার পরে বিদ্যালয়ের পক্ষে জমিদাতার ছেলে মো. ইমসাইল হোসেন খান উপজেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পাথরঘাটা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. শহিদ খান ও জমিদাতার ছেলে মো. ইসমাইল বলেন, বিদ্যালয়ের জমি নিয়ে আগে থেকে বিরোধ আছে। বিদ্যালয় ভবনটি জরাজীর্ণ হওয়ায় ইতোমধ্যেই নতুন ভবন অনুমোদন হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় রফিক ও তার বাবা খালেক মুন্সি ওই জমি দখলে নিতেই মাঠে পুকুর খনন করেছে এবং পুকুরের চারপাশে বেড়া দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপন করেছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুল খালেকের মুঠোফোনে কলা করা হলে তিনি কিছুক্ষণ পর দেখা করবে বলে ফোন কেটে দেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জামাল হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ে পাঠদান ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ঘর উত্তোলনের জন্য মাটি কাটা হয়েছে। পুকুর খনন ও বেড়া দেওয়ার বিষয়ে তিনি কোনো সদোত্তর দিতে পারেননি।
এ বিষয় পাথরঘাটা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. গোলাম হায়দার বলেন, শিক্ষার্থীদের ঝুঁকি এড়াতে ভবনের পাশেই ঘর উত্তোলনের কথা বলেছি, কিন্তু বিদ্যালয়ের মাঠ কেটে পুকুর খননের বিষয় আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি সরেজমিন গিয়ে তদন্ত করে প্রমানিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম