নাটোরে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় কর্মহীন, দরিদ্র, দিন মজুর ও দরিদ্র ব্যক্তিদের জন্য মোট বরাদ্দ পাওয়া গেছে ৭৫৫ মেট্রিকটন চাল এবং ৩৬ লাখ ১৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে ৩৩ হাজার ৩৫৪ জন ব্যক্তির মধ্যে ৪৩৭ মেট্রিক টন চাল ও ১৯ লাখ ১৭ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। অবশিষ্ট চাল ও টাকা দ্বিতীয় দফায় বিতরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
শনিবার নাটোর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ইউনাইটেড প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময়কালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ শাহরিয়াজ এসব কথা জানান।
নাটোরে করোনা মোকাবেলায় প্রস্তুত প্রশাসন রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, জনগণকে সচেতন করতে এবং সামাজিক দূরত্ব অভিযান সফল করতে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২৫টি ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এসব মোবাইল টিম সামাজিক দূরত্ব বজায় লাখার নির্দেশ না মানায় বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করাসহ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছে।
জনসাধারণকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ শাহরিয়াজ বলেন, যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে নাটোরের প্রশাসন।
নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, বহিরাগত ব্যক্তিদের জেলায় প্রবেশ বন্ধে ইতোমধ্যে জেলার সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সামাজিক বিচ্চিন্নতা অভিযান সফল করতে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। জেলার থানা পুলিশ, ডিবি, ট্রাফিকসহ রিজার্ভ পুলিশের সকল সদস্য জেলাব্যাপী অভিযান পরিচালনা করছেন। আজ সন্ধ্যা ৬টার পর জনসাধারণকে ঘরে রাখতে পুলিশ আরও কঠোর অভিযান পরিচালনা করবে।
নাটোরের সিভিল সার্জন ডা. কাজী মিজানুর রহমান বলেন, নাটোরে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত কাউকে পাওয়া যায়নি। ২৬টি নমুনার মধ্যে ২১টির ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। বাকী ৫টির ফলাফল বিকাল নাগাদ পাওয়া যাবে।
তিনি আরও বলেন, করোনা আইসোলেশন ইউনিটগুলো শয্যাসহ অন্যান্য সুবিধা দিয়ে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আমরা করোনা রোগীদের জন্য ৪০টি ভেন্টিলেটর বরাদ্দ চেয়েছি। আশা করছি দ্রুতই সেগুলো পাওয়া যাবে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম