করোনাভাইরাসের প্রভাবে দিনাজপুরের একমাত্র রানীবন্দর তাঁত পল্লীও বন্ধ হয়ে গেছে। ৪০টি তাঁতের মধ্যে ২/১টি চালু থাকলেও তা নিভু নিভু। সুতাসহ বিভিন্ন সমস্যার কারণে ২/১ দিনেই বন্ধ হয়ে যাবে। বন্ধ হয়ে যাওয়ায় লোকসানে পড়েছে তাঁতীরা। বেকার হয়েছে তাঁত শ্রমিকরা।
একসময়ে উত্তরবঙ্গের রাণীবন্দর তাঁত শিল্পের নাম ছিল। ছোট-বড় প্রায় দু’শতাধিক তাঁত শিল্প কারখানা। এ তাঁত শিল্পের সঙ্গে প্রত্যেক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ১০ সহস্রাধিক মানুষ জড়িত ছিল। কিন্তু বিভিন্ন সমস্যায় বিলুপ্তির পথে তখন নতুন সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করেন কয়েকজন। এখন আবার ওই তাঁত শিল্প এবার করোনাভাইরাসের প্রভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। কর্মহীন হয়ে পড়েছে অর্ধশতাধিক তাঁত শ্রমিক।
চিরিরবন্দরের তাঁত শিল্পে অর্জিত সফলতায় তৈরি টেবিল ক্লোথ, ডাইনিং, ম্যাথ, গ্রামীন চেক, শাড়ী, থ্রী-পিছ, ওঙনা, বেড কভারসহ বিভিন্ন প্রকারের কাপড় কয়েক কোম্পানির মাধ্যমে সুইডেনসহ বিভিন্ন দেশে রফতানি হয়েছে। কিন্তু সেই উৎসাহে ভাটা পড়েছে করোনাভাইরাসের কারণে।
করোনাভাইরাসের প্রভাবে রানীবন্দরের তাঁতী আব্দুল মালেক এর ৫টি তাঁতের মধ্যে ২টি চালু থাকলেও কাচাঁমাল সংকটে ২/১ দিনের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে। আবার আবুল কালাম ওরফে বাবুর ৫টি তাঁতও বন্ধ হয়ে গেছে। তাঁতী জহুরুল হকের ৩০টি তাঁতও বাজারজাতকরণ সমস্যসহ নানা কারণে বন্ধ হয়ে গেছে।
ফয়জউদ্দিনসহ তাঁত শ্রমিকরা জানায়, তাঁত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমরা কর্মহীন হয়ে পড়েছি। অর্থকষ্টে পড়েছি।
তাঁতী জহুরুল হক জানান, করোনার প্রভাবে সুতাসহ কাঁচামাল সংকট, অর্থ সংকটসহ বাজারজাতকরনের সমস্যার কারণে আমার সব তাঁতই বন্ধ রেখেছি। এখানে ৫০জন শ্রমিক কাজ করে। বন্ধ হওয়ায় তারাও বেকার। আমরা কোন রকম সাহায্য সহযোগিতা না পাওয়ায় লোকসানে পড়েছি।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম