করোনা নিয়ে যখন দেশের মানুষ আতঙ্কিত অবস্থায় রয়েছে, সেখানে করোনাকে পুঁজি করে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর অপচেষ্টা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। সুস্থ মানুষকে করোনার রোগী আখ্যা দিয়ে প্রতিপক্ষের একজনকে ফাঁসানোর জন্য জেলা প্রশাসকের মেসেঞ্জারে তার ছবি দিয়ে আবেদন জানানো হয়।
শুধু জেলা প্রশাসকের মেসেঞ্জারেই মিথ্যা তথ্য দিয়েই থেমে থাকেনি, সেই ব্যক্তির ছবি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে সেই ব্যক্তিটি এখন সামাজিকভাবে নানা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার ডাঙ্গী ইউনিয়নের আটাইল গ্রামে। ঘটনার শিকার হওয়া ব্যক্তি বাধ্য হয়ে নগরকান্দা থানা পুলিশের শরনাপন্ন হয়েছেন।
ডাঙ্গী ইউনিয়নের আটাইল গ্রামের মৃত জয়নুদ্দিন মাতুব্বরের পুত্র নুরু মাতুব্বর জানান, গ্রাম্য বিরোধের জের ধরে তার প্রতিপক্ষের লোকজন মিথ্যা অপবাদ দিয়ে জেলা প্রশাসক অতুল সরকার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেতি প্রæকে অবহিত করে বলেন, আমি নাকি নারায়ণগঞ্জ জেলায় বেড়াতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ফরিদপুরে পালিয়ে এসেছি। আমি নাকি গ্রামে পালিয়ে রয়েছি। মহামারী রোধে আমাকে প্রশাসনের হেফাজতে নেওয়ারও দাবি জানানো হয়।
প্রতিপক্ষ শুধু জেলা প্রশাসক ও ইউএনওকে নয়, তাদের ফেসবুকে আমার ছবি দিয়ে সামাজিকভাবে হেয় করছে। বিষয়টি জানতে পেরে আমি স্থানীয় প্রশাসনকে জানাই। তারা খোঁজ নিয়ে দেখতে পায় আমি সম্পূর্ণ সুস্থ ও ভালো আছি। ফলে বিষয়টি মিথ্যা প্রমাণিত হয়। এ বিষয়ে অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।
নগরকান্দা থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা জানান, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আমরা নিয়ে তদন্ত করে তার কোন সত্যতা পাইনি। নুরু মাতুব্বর আসলে অপপ্রচারের শিকার হয়েছেন। যারা এই ধরনের কাজ করেছেন, তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে। যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ কেউ করতে সাহস না পান।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন