পদ্মাসেতুু প্রকল্প এলাকা থেকে ৭০০ শ্রমিক বিদায় দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে পদ্মাবহুমুখী সেতু প্রকল্পের মূল সেতুর পাইলিং ও পিলারের কাজে নিয়োজিত এসব শ্রমিকদের যাবতীয় পাওনাদি পরিশোধ করেই তাদের বিদায় জানানো হয়।
মূল সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের এ তথ্য নিশ্চিত করে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, পদ্মাসেতুর পাইলিং ও পিলারের কাজে সহায়তার জন্য অস্থায়ীভাবে যে সমস্ত দেশি শ্রমিক ২০১৫ সালে পাইলিং থেকে শুরু করে মূল সেতুর পিলার বসানো কাজে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এমবিইসি কতৃক অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োজিত ছিলেন, আজ ১৪ এপ্রিল (মঙ্গলবার) শেষ পিলারের ফর্মওয়ার্ক রিমুভ ও ফিনিশিং সম্পূর্ণ শেষ হওয়ায় এ মাসের সম্পূর্ণ
বেতন ভাতাদি পরিশোধ করে নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানটি ৭০০ শ্রমিককে পদ্মাসেতু প্রকল্প থেকে বিদায় দিয়েছে। তবে এ সমস্ত শ্রমিকরা বেকার হবেন না বলে তিনি আরো জানান, একই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এমবিইসি পদ্মাসেতুর রেল লিংক প্রকল্পের কাজ পাওয়ায় এই ৭০০ শ্রমিককে সেখানে স্থানান্তর করে তাদের কাজ দেওয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি। এর আগে একই ধরনের আরো কয়েক দফায় পদ্মাসেতু প্রকল্পের সাথে জড়িত অস্থায়ী শ্রমিকদেরকে টোল প্লাজা, এক্সপ্রেসওয়ে, এপ্রোজ সড়কের কাজ শেষ হওয়ায় বিদায় দেওয়া হয়েছে।
এ পর্যায়ে সেতুর কাজ শেষের পথে আসায় শ্রমিকও কম লাগছে বলে তিনি জানান।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আজকের এ বিদায় হওয়া ৭০০ শ্রমিকের জন্য মনটা খুব খারাপ লাগছে। কারণ দির্ঘদিন এদের সাথে একসাথে কাজ করেছি অনেক সমায় সুখ-দুখ ভাগাভাগি করে নিয়েছি এক কথায় এরা অনেকটা আপন হয়ে গিয়েছিল।
দেশের সর্ব বৃহৎ ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মাসেতুর নদীতে ৪২টি পিলার এবং দুই পাড়ে আরো ১২টি করে ২৪টি পিলার মোট ৬৬টি পিলারের কাজ ফিনিশিংসহ শেষ হয়েছে। পুরোদমে চলছে স্প্যান বসানো ও স্প্যানের উপরে পাত বসানোর কাজ এবং মাঝে রেল লাইনের কাজ।
ইতিমধ্যে ২৮টি স্প্যান পিলারে বসে সোয়া ৪ কিলোমিটার সেতু দৃশ্যমান হয়েছে। এ সেতুতে মোট ৪১টি স্প্যান বসানো হবে যার ২৮টি ইতোমধ্যে পিলাবে বসে গেছে আর বাকী আছে ১৩টি স্প্যান বসানোর কাজ। এ মাসে আরো ১টি স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল