ট্রেডিং কর্পোরেশন অফ বাংলাদেশ (টিসিবি) পণ্য কালো বাজারে বিক্রয়কালে মুলাডুলির ডিলারসহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাতে ঈশ্বরদীর মুলাডুলির মধ্যপাড়া থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের নিকট থেকে টিসিবি’র ১১ বস্তা খাদ্যসামগ্রী উদ্ধার করা হয়।
আটকরা হলেন- মুলাডুলি ইউনিয়নের মধ্যপাড়ার মৃত সনৎ কুমারের ছেলে টিসিবি’র ডিলার উৎপল কুমার সরকার ও তার সহকারী একই এলাকার আব্দুল মালেক শেখের ছেলে খোকন শেখ। মঙ্গলবার দুপুরে আটকদের পাবনা জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, করোনাভাইরাসের মহামারিতে দেশের বিভিন্ন এলাকার টিসিবি ও খোলা বাজারে ন্যায্য মূল্যে বিক্রয় (ওএমএস) চাউলের ডিলাররা কালো বাজারে বিক্রয় ও মজুদ করার খবর প্রকাশের পর স্থানীয় ডিলারদের উপর নজরদারি রাখা হয়। ঘটনার দিন মুলাডুলির ডিলার উৎপল কুমার সরকারের টিসিবির ৫ বস্তা চিনি, ২ বস্তা মসুর ডাল ও ৪ বস্তা ছোলা কালো বাজারে বিক্রয়ের জন্য তার সহকারী খোকন শেখের বাড়িতে মজুদ করে। বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে তদন্ত দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুল আলিম, মুলাডুলি ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম মালিথা, পদকপ্রাপ্ত মৎস্য চাষী হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
একই সঙ্গে তারা ঈশ্বরদীর পৌর সভা ও ইউনিয়নগুলোতে টিসিবি ও ওএমএস চালের ডিলারদের মাধ্যমে খাদ্যসামগ্রী বিক্রয় করা হয়েছে এবং প্রকৃত সুবিধাভোগীদের মধ্যে বিক্রয় করা হয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা দরকার। টিসিবির মুলাডুলির ডিলারসহ তার সহকারী আটক হওয়ার পর মনে হচ্ছে ঈশ্বরদীতেও আগে থেকেই কালো বাজারে বিক্রয় ও মজুদ করে রাখা হয়ে থাকতে পারে বলে দাবি করেন এসব নেতারা।
ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির জানান, ঈশ্বরদীর বিভিন্ন এলাকার টিসিবি ও ওএমএস চাল বিক্রয়ের ডিলাররা কালো বাজারে খাদ্য সামগ্রী বিক্রয় করছে বলে তথ্য পাওয়া যায়। এসব তথ্যের ভিত্তিতে ডিলারদের উপর নজরদারী রাখা হয়। ঘটনার দিন অভিযান চালিয়ে টিসিবির ডিলার উৎপল কুমার সরকারসহ তার সহযোগীকে আটক করা হয়। খোকনের ঘর থেকে উদ্ধার করা হয় টিসিবির ১১ বস্তা পণ্য। আটকদের পাবনা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম