অধিক ঝুঁকিপূর্ণ দেশের প্রথম লকডাউন এলাকা মাদারীপুরের শিবচরে অচলাবস্থার ২৪ দিনেও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরকারি বা স্বাস্থ্য বিভাগের কোন অর্থ বরাদ্দই আসেনি। এ সংক্রান্ত কার্যক্রম চলছে চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে।
মা ও শিশু কেন্দ্রে ২০ শয্যার একটি পৃথক আইসোলেশন কেন্দ্র ঘোষণার পর ১২ জন চিকিৎসকসহ ৭৬ জন জনবল চাহিদাপত্র দিয়ে কর্তৃপক্ষ বরাবর চিঠি পাঠালেও এখনো কোন সাড়া মেলেনি।
বিশেষায়িত কেন্দ্রটির রোগীদের খাবার ব্যবস্থাই করতে পারেনি স্বাস্থ্য বিভাগ। এদিকে অর্থ বরাদ্দ না থাকায় সদর হাসাপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি শিবচরের ১২ রোগীসহ ১৫ রোগী মানহীন খাবার খাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্বপরিবারে সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে থাকা এক ইতালি প্রবাসী মুঠোফোনে বলেন, আইসোলেশনে আমাদের নেওয়া হয় সুস্থতার জন্য। করোনা রোগীদের ভালো মানের খাবার খেতে দিতে হয়। কিন্তু এ ওয়ার্ডে যা খাবার দেয়, তা খেয়ে আরো অসুস্থ হয়ে যেতে হয়।
শিবচরের প্রস্তাবিত আইসোলেশন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক ডা. হারুনুর রশীদ খান বলেন, করোনা আইসোলেশনে যারা দায়িত্ব পালন করবেন তারা এক সপ্তাহ ডিউটি করার পর নিয়ম অনুসারে ১৫ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কর্মকর্তা ডা. শশাঙ্ক চন্দ্র ঘোষ বলেন, এখন পর্যন্ত করোনা পরিস্থিতির পর কোন অর্থই বরাদ্দ আসেনি। এ বাবদ এ পর্যন্ত ৫০ হাজার টাকা আমার ব্যক্তিগত খরচ হয়েছে। সরকারিভাবে কিছু পিপিই, মাস্ক ও মেডিকেল ইকুইপমেন্ট এসেছে। স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য পিপিই বরাদ্দ ও একটি বিকল এ্যাম্বুলেন্স চীফ হুইপ স্যার সেরে দিয়েছেন। আমি আইসোলেশন কেন্দ্রর জন্য কর্তৃপক্ষ বরাবর জনবলসহ যাবতীয় সামগ্রী চেয়ে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু এখনো কিছু আসেনি। তাই বাধ্য হয়েই স্থানীয় স্টাফদের সংযুক্ত করছি। আর ওই কেন্দ্রের খাবার ব্যাপারে এখনো কর্তৃপক্ষ কিছু জানায়নি। নেতৃবৃন্দদের সহায়তা চেয়েছি।
মাদারীপুর সিভিল সার্জন ডা. শফিকুল ইসলাম মুঠোফোনে বিস্ময়ের সাথে বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে কোন অর্থই বরাদ্দ পাইনি এখনো। আইসোলেশনের রোগীদের জন্য জেলা প্রশাসক ভিটামিন সি যুক্ত খাবার বাবদ ৩০ হাজার টাকা দিয়েছেন। ব্যক্তি উদ্যোগে আইসোলেশনে থাকাদের খাবার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল